• ** জাতীয় ** আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি : শেখ হাসিনা ** আবারও তিন দিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি ** চুয়াডাঙ্গায় হিট স্ট্রোকে দুই নারীর মৃত্যু ** ইউআইইউ ক্যাম্পাসে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’ নিয়ে তোলপাড় সারাদেশ ** সিলেটে মসজিদে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে ইমামের মৃত্যু ** নরসিংদীতে হিট স্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু ** সব ধরনের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন : https://www.newsflash71.com ** সব ধরনের ভিডিও দেখতে ভিজিট করুন : youtube.com/newsflash71 ** লাইক দিন নিউজফ্ল্যাশের ফেসবুক পেইজে : fb/newsflash71bd **


পরলোকে ডিয়েগো ম্যারাডোনা

ডেস্ক রিপোর্ট | প্রকাশিত: ২৬ নভেম্বর ২০২০, ০১:২৪

স্পোর্টস ডেস্ক:

আর্জেন্টাইন ফুটবল কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনা আর নেই। বুধবার (২৬ নভেম্বর) হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে না ফেরার দেশে চলে যান ১৯৮৬ সালে আর্জেন্টিনাকে প্রায় একাই বিশ্বকাপ জেতানো এই মানুষটি।

আর্জেন্টিনা ক্রীড়া দৈনিক ‍ওলে জানায়, মাত্র দুই সপ্তাহ আগেই মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার হয়েছিল তার। হাসপাতাল ছেড়ে ফিরেছিলেন নিজ বাড়িতে। তবে মাত্র ক’দিনের ব্যবধানে ৬০ ‍বছর বয়সে কোটি ফুটবলভক্তকে কাঁদিয়ে পরপারের বাসিন্দা হলেন বাঁ পায়ে অসংখ্য মুহূর্তের জন্ম দেওয়া এই ফুটবল ঈশ্বর।

নভেম্বরের শুরুতে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের জন্য অস্ত্রোপচার করাতে হয় সাবেক নাপোলি ও বোকা জুনিয়র্স তারকাকে। প্রথম দিকে দ্রুত হাসপাতাল ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু অ্যালকোহল আসক্তির কারণে নানা জটিলতা দেখা দেওয়ায় অনেক বেশি সময় সেখানে থাকতে হয়।

চিকিৎসকেরা চেয়েছিলেন আরও কিছুদিন হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে তিনি থাকুন। কিন্তু জীবনের প্রতিটি সময় নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নিজের স্বভাবসুলভ আচরণে মগ্ন থাকা ম্যারাডোনা হাসপাতালে থাকতে চাননি। চিকিৎসকের নিষেধের পরও হাসপাতাল ‍ছাড়তে উঠেপড়ে লেগেছিলেন তিনি।

শেষ পর্যন্ত গত ১২ নভেম্বর অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতাল ছাড়েন ম্যারাডোনা। কিন্তু নিয়তি, হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে থেমে গেল তার জীবনযাত্রা।

আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ) এক টুইট বার্তার খবরটি নিশ্চিত করেছে, ‘আমরা ভীষণ শোকার্ত আমাদের কিংবদন্তির মৃত্যুতে। আপনি সবসময় থাকবেন আমাদের হৃদয়ে।’

আর্জেন্টিনার জেতা সবশেষ বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক ম্যারাডোনা ১৯৮৬ সালে মেক্সিকোর আসরে বলতে গেলে প্রায় একাই চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন লাতিন আমেরিকার দেশটিকে। ওই বিশ্বকাপেই ফুটবল বিশ্ব দেখেছিলেন তার ‘হ্যান্ড অব গড’ গোলটি। ক্লাব ফুটবলে নাপোলিকে দিয়েছিলেন লিগ শিরোপার স্বাদ। ইতালিয়ান এই ক্লাবে যাওয়ার আগে খেলে গিয়েছিলেন বার্সেলোনার জার্সিতে। আর ক্যারিয়ারের শেষটা করেছিলেন বোকা জুনিয়র্সে।

১৯৬০ সালে আর্জেন্টিনার বুইয়েন্স আইরিসে জন্ম নেওয়া এই ফুটবল কিংবদন্তি আর্জেন্টিনার জার্সিতে ৯১ ম্যাচে করেছেন ৩৪ গোল। খেলোয়াড়ি জীবন শেষে আর্জেন্টিনার কোচের দায়িত্বও সামলেছেন তিনি। ২০০৮ সালে দায়িত্ব নিয়ে আলবিসেলেস্তেদের ডাগআউটে দাঁড়িয়েছিলেন ২০১০ সালের বিশ্বকাপেও। সবশেষ আর্জেন্টাইন ক্লাব জিমনেসিয়ার কোচের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি।

দারুণ ফুটবলে যেমন নন্দিত ছিলেন, তেমনটি নিন্দিতও ছিলেন বেপরোয়া জীবনযাপনের কারণে। বিশেষ করে, কোকেন সেবন কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল তার ফুটবল ক্যারিয়ারে। যে কারণে ১৯৯৪ বিশ্বকাপে খেলাই হয়নি এই কিংবদন্তির। ১৯৯১ সালে ড্রাগ পজিটিভ হয়ে ১৫ মাস নিষিদ্ধ ছিলেন তিনি।

সব কিছু ছাপিয়ে ম্যারাডোনাকে বিশ্ববাসী মনে রাখবে তার অসম্ভব সুন্দর ফুটবল কারুকার্যের জন্য। পরপারে ভালো থাকুন বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের ভালোবাসা ডিয়েগো ম্যারাডোনা!



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top