বহরমপুরে দুর্গাপূজামণ্ডপে ইউনূসকে অসুররূপে প্রতীকায়িত
নিউজফ্ল্যাশ ডেস্ক | প্রকাশিত: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৫৭
সাম্প্রতিক দুর্গাপূজায় মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের খাগড়া এলাকায় অবস্থিত নরেন্দ্র স্মৃতি সংঘের পূজামণ্ডপে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসকে অসুররূপে প্রতীকায়িত করে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় শিল্পীদের দাবি, এ বছরের থিম ছিল ‘দহন’, যা দেশ ও সমাজের শত্রুদের প্রতীকী বিনাশের ধারণা বহন করছিল।
পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই ঘটনা নিয়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকে এটিকে কেবল শিল্পীসুলভ স্বাধীনতা হিসেবে দেখলেও, অনেকেই এটিকে সরাসরি অসম্মানজনক ও অগ্রহণযোগ্য হিসেবে নিন্দা করেছেন। বিশেষত, বাংলাদেশের প্রবাসী নাগরিকরা এটিকে কূটনৈতিক শিষ্টাচার ও সামাজিক সম্প্রীতির প্রতি আঘাত হিসেবে দেখছেন।
উল্লেখযোগ্য যে, পূজামণ্ডপে ড. ইউনূস ছাড়াও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে অসুররূপে নির্মাণ করা হয়েছে। তবে মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে বিতর্ক সবচেয়ে তীব্র হয়েছে, কারণ ভারত ও বাংলাদেশের সংযোগ ও নৈকট্য অন্যান্য দুই দেশের সঙ্গে তুলনামূলকভাবে বেশি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মুর্শিদাবাদের ইতিহাস, সীমান্তবর্তী অবস্থান এবং বাংলাদেশ থেকে অভিবাসীদের সামাজিক প্রভাব এই ঘটনার পেছনে মানসিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট হিসেবে কাজ করেছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড শুধুমাত্র প্রতীকী নয়, বরং তা সামাজিক বিভেদ ও কূটনৈতিক টানাপোড়েন সৃষ্টি করতে পারে।
স্থানীয় নাগরিক ও বিশ্লেষকরা মনে করেন, ধর্মীয় উৎসবের মূল বার্তা হওয়া উচিত সম্প্রীতি, ঐক্য ও মানবিকতা। তবে এই ধরনের প্রতিকৃতি নির্মাণ তা বিপরীত দিকে ঠেলে দিতে পারে, বিশেষত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি, তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাধারণ মানুষ এটিকে প্রতিবেশী দেশের প্রতি প্রকাশ্য অসম্মান হিসেবে দেখছেন।
বিষয়:

পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।