হাদি হত্যায় জড়িত দুই সহোযোগী গ্রেপ্তার, এমন দাবি অস্বীকার করেছে বিএসএফ
নিউজ ডেস্ক | প্রকাশিত: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮:২৩
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহীদ শরিফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের প্রধান দুই সন্দেহভাজন ভারতে পালানোর বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) দাবি সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। ডিএমপির এই দাবিকে "ভিত্তিহীন, সাজানো ও বিভ্রান্তিকর" বলে অভিহিত করেছে তারা।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম 'হিন্দুস্তান টাইমস' ও 'এএনআই'-এর খবরে বলা হয়, মেঘালয় সীমান্ত দিয়ে হাদি হত্যার আসামিদের অনুপ্রবেশের কোনো প্রমাণ নেই। মেঘালয় বিএসএফ-এর আইজি ওপি উপাধ্যায় বলেন, "বাংলাদেশি পুলিশের দাবিগুলো পুরোপুরি মিথ্যা ও বানোয়াট। মেঘালয় সেক্টরে এমন কোনো অনুপ্রবেশ বা গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটেনি।"
আইজি আরও যোগ করেন, ঢাকা থেকে ৩০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে কড়া নজরদারি এড়িয়ে কেউ সীমান্ত পার হওয়া অবাস্তব। এর আগে মেঘালয় রাজ্য পুলিশের মহাপরিদর্শক (ডিজিপি) ইদাশিশা নংরাং-ও ডিএমপির দাবি নাকচ করে জানান, তাদের কাছে এমন কোনো গ্রেপ্তারের তথ্য নেই।
এর আগে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার এস এন নজরুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, গোয়েন্দা তথ্য ও গ্রেপ্তারকৃতদের জবানবন্দি অনুযায়ী, প্রধান আসামি ফয়সাল ও আলমগীর পরিকল্পনা মাফিক মানিকগঞ্জ ও ময়মনসিংহ হয়ে হালুয়াঘাট সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে।
ডিএমপির দাবি অনুযায়ী:
হালুয়াঘাটের সীমান্তে ফিলিপ ও সঞ্জয় নামে দুই ব্যক্তি তাদের গ্রহণ করে। তাদের ভারতের মেঘালয়ে 'পুত্তি' নামে এক ব্যক্তির কাছে হস্তান্তর করা হয়। পুত্তি তাদের ট্যাক্সি ড্রাইভার 'সামী'র কাছে পৌঁছে দেয়, যে তাদের তুরা নামক স্থানে নিয়ে যায়। ডিএমপি আরও দাবি করেছিল যে, অনানুষ্ঠানিক সূত্রে তারা জানতে পেরেছে মেঘালয় পুলিশ পুত্তি ও সামীকে গ্রেপ্তার করেছে।
ডিএমপি যখন সিসিটিভি ফুটেজ ও জবানবন্দির ভিত্তিতে আসামিদের মেঘালয়ে অবস্থানের দাবি করছে, তখন ভারত পক্ষ থেকে তা সরাসরি অস্বীকার করা হচ্ছে। এই ঘটনায় দুই দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে তথ্যগত এক বড় ধরনের ব্যবধান তৈরি হয়েছে, যা হাদি হত্যা মামলার তদন্তে নতুন মোড় নিতে পারে।
সূত্রঃ দৈনিক জনকণ্ঠ
এনএফ৭১/এসআর
বিষয়:

পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।