• ** জাতীয় ** আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি : শেখ হাসিনা ** আবারও তিন দিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি ** চুয়াডাঙ্গায় হিট স্ট্রোকে দুই নারীর মৃত্যু ** ইউআইইউ ক্যাম্পাসে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’ নিয়ে তোলপাড় সারাদেশ ** সিলেটে মসজিদে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে ইমামের মৃত্যু ** নরসিংদীতে হিট স্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু ** সব ধরনের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন : https://www.newsflash71.com ** সব ধরনের ভিডিও দেখতে ভিজিট করুন : youtube.com/newsflash71 ** লাইক দিন নিউজফ্ল্যাশের ফেসবুক পেইজে : fb/newsflash71bd **


অষ্টম দিনের মতো চলছে চা শ্রমিকদের কর্মবিরতি

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ২০ আগষ্ট ২০২২, ২৩:৫৩

কর্মবিরতিতে চা-শ্রমিকরা

দৈনিক ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে চা-শ্রমিক ইউনিয়নের ডাকা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি অষ্টম দিনের মতো চলছে। দাবি আদায়ে গত ১৩ আগস্ট থেকে দেশের সকল চাবাগানে পূর্ণদিবস ধর্মঘটের ডাক দেন শ্রমিকরা।
এর আগের চার দিন দু ঘণ্টার কর্মবিরতিতে গিয়েও মালিক পক্ষের কোনো সাড়া না পেয়ে পূর্ণদিবস কর্মবিরতিতে যায় শ্রমিকরা। ধর্মঘটে শ্রমিকরা বাগানে বাগানে মিছিল ও সমাবেশ করেছে। পরে তারা সড়ক ও মহাসড়ক অবরোধ করেন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত জুন মাসে চা-শ্রমিক ইউনিয়ন ও মালিক পক্ষের সংগঠন বাংলাদেশ চা সংসদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকা করার প্রস্তাব দেন শ্রমিক নেতারা। তখন মালিক পক্ষ ১৪ টাকা বাড়িয়ে ১৩৪ টাকা মজুরির প্রস্তাব দেয়। পরে শ্রমিক নেতারা তা প্রত্যাখ্যান করেন।
চা-শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল বলেন, ‘আমরা দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকা দাবি জানিয়েছি। সীমিত কর্মবিরতি পালনের পরও দাবি পূরণ না হওয়ায় দেশের সব চাবাগানে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘মালিক-শ্রমিকের মধ্যে মজুরি চুক্তির ১৯ মাস পার হলেও তারা তা বাড়ায়নি।’
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় হাজরা বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাতটি ভ্যালিতে সভা করে আমাদের সিদ্ধান্ত জানিয়েছি। আমাদের দাবির বিষয়ে অটল আছি। শুক্রবার জন্মাষ্টমী উপলক্ষে কিছু চা বাগানে সমাবেশে শ্রমিকের সংখ্যা কম ছিল। দাবি না মানা পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট চলবে। ’
চা সংসদের সিলেট ব্রাঞ্চের চেয়ারম্যান গোলাম শিবলী বলেন, ‘চা শ্রমিকদের ধর্মঘটের কারণে ভরা মৌসুমে চা পাতা উত্তোলন বন্ধ রয়েছে। এতে প্রতিদিন প্রায় ৩-৪ কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে। ’ তিনি বলেন, মালিকপক্ষও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, অন্যদিকে শ্রমিকরাও মজুরি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আমরা মজুরি বৃদ্ধির ব্যাপারে আলোচনার পর্যায়ে ছিলাম। হঠাৎ তারা আন্দোলন শুরু করে দিল, যা চা শিল্প টিকে রাখা মুশকিল। ’

 

 

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top