• ** জাতীয় ** আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি : শেখ হাসিনা ** আবারও তিন দিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি ** চুয়াডাঙ্গায় হিট স্ট্রোকে দুই নারীর মৃত্যু ** ইউআইইউ ক্যাম্পাসে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’ নিয়ে তোলপাড় সারাদেশ ** সিলেটে মসজিদে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে ইমামের মৃত্যু ** নরসিংদীতে হিট স্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু ** সব ধরনের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন : https://www.newsflash71.com ** সব ধরনের ভিডিও দেখতে ভিজিট করুন : youtube.com/newsflash71 ** লাইক দিন নিউজফ্ল্যাশের ফেসবুক পেইজে : fb/newsflash71bd **


যুবলীগ নেতা রুবেলকে যেভাবে হত্যা করা হয়

শাকিল খান | প্রকাশিত: ২৩ জুলাই ২০২৩, ২৩:০৯

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মালিবাগে যুবলীগ নেতা অলিউল্লাহ রুবেলকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যাকাণ্ডের আলোচিত ঘটনায় জড়িত মো. আদনান আসিফ এবং মো. শাকিলকে রাজধানীর উত্তরা (পূর্ব) এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৩। এরপর তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এ সময় তারা জানায়, শাহজালাল নামের এক ব্যক্তির সাথে স্থানীয় এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে রুবেলের বিরোধ সৃষ্টি হয়। এরই জেরে তাকে নৃশংস হত্যা করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা হলেন মো. শাহজালাল, মো. হাবিব আহসান, মো. আলিফ হোসাইন, মো. রবিউল সানি, মো. মেহেদী হাসান, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. নুর আলম ও মো. সুমন মীর। 

সোমবার (২৩ জুলাই) র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, নিহত যুবলীগ নেতা রুবেল মালিবাগ এলাকায় পরিবার নিয়ে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। তিনি শান্তিবাগে ইন্টারনেট ও ডিমের পাইকারি ব্যবসা করতেন। সম্প্রতি পানির ব্যবসার সঙ্গেও যুক্ত হওয়ার চেষ্টা করেন। মূলত, এসব কারণে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শাহজালাল নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে তার বিরোধ সৃষ্টি হয়।

র‌্যাব জানায়, ওই শত্রুতার জেরেই ২০ জুলাই শাহজালালের নির্দেশে কয়েকজন মিলে রুবেলকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার পরিকল্পনা করে। এরপর পরিকল্পনা অনুযায়ী ওই দিন রাত ১১টায় রুবেলের বাসায় যাওয়ায় রাস্তার গলির মুখে ও আশপাশে অবস্থান নেয় আসিফ, শাকিল, হাবিব, সানি, আলিফসহ অন্যান্যরা।

এরপর রুবেল সামনে এগিয়ে গেলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রুবেলের ওপর হামলার চেষ্টা চালায় তারা। তখন রুবেল বাঁচার জন্য দৌড়ে মালিবাগ বাজার রোড বিভাবরী বাড়ির সামনে আসলে হাবিব ও তার দল রুবেলকে রাস্তায় ফেলে এলোপাতাড়ি মাথা, দুই হাত, পা, পিঠসহ সারা শরীরে কোপাতে থাকে এবং ভিকটিমের পায়ের পাতা কুপিয়ে শরীর হতে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। পরে দুর্বৃত্তরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

নৃশংস এই খুনের ঘটনায় গোয়েন্দা-মতিঝিল বিভাগ ছায়া তদন্ত শুরু করে। ঘটনাস্থলের সিসি ফুটেজ পর্যালোচনা, সিডিআর পর্যালোচনা এবং তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনায় সরাসরি জড়িতদের শনাক্ত করা হয়। অভিয্ক্তু ব্যক্তিরা প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলে ঢাকা থেকে পালানোর চেষ্টা করলে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মতিঝিল থানার পীরজঙ্গী মাজার সিগন্যালের পাশ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা দুটি চাপাতি মধ্যে একটি আবুজার গিফারীর কলেজের বিপরীত পাশের ঝোপঝাড় থেকে ও অপরটি ঘটনাস্থলের বিপরীত পাশে ফাঁকা জায়গায় নারিকেল গাছের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়।

 

 

 

 

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top