হাতীবান্ধায় ওলামা দলের নেতার বিরুদ্ধে মাদ্রাসা দখল ও ভূঁয়া নিয়োগের অভিযোগ
লালমনিরহাট প্রতিনিধি | প্রকাশিত: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬:৩১

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের একটি ইবতেদায়ী মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতার পদ দখল ও ভূঁয়া নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে ওলামা দলের নেতা আব্দুস ছোবাহানের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে স্থানীয়দের দানকৃত জমির ওপর ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় “পূর্ব ফকিরপাড়া ১ নম্বর স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা”। প্রতিষ্ঠাকালে সাতজন দাতা সদস্য প্রায় ১০০ শতক জমি মাদ্রাসার নামে দলিল করে দেন। দীর্ঘদিন স্থানীয়দের উদ্যোগেই মাদ্রাসাটি পরিচালিত হয়ে আসছিল।
কিন্তু সম্প্রতি আব্দুস ছোবাহান মাদ্রাসার দানকৃত জমি জবরদখল করে নিজস্ব স্বার্থে অবৈধভাবে পরিচালনা শুরু করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তিনি ‘ছদ্ম ম্যানেজিং কমিটি’ গঠন করে মনগড়া শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন বলেও জানা গেছে।
স্থানীয় আবুল হোসেন বলেন, “১৯৭৮ সালে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠিত হয়ে সরকারি অনুদানও পেয়েছিল। কিন্তু গত ৫ আগস্ট পুরনো কমিটিকে বাদ দিয়ে আবু বক্কর সিদ্দিক, আব্দুস ছোবাহান ও তার সহযোগী সাজু নিজেদের ঘরে বসে কমিটি তৈরি করে ভূয়া নিয়োগ দেন।”
একই এলাকার আনোয়ার হোসেন অভিযোগ করে বলেন, “মাদ্রাসার জমি দখল করার পাশাপাশি এখন মুসল্লিদের মসজিদেও নামাজ পড়তে দেওয়া হচ্ছে না।”
জমি দাতা ওছিমুদ্দিনের নাতী নুরন্নবী বলেন, “আমার দাদা ওই মাদ্রাসায় ১২ শতক জমি দান করেছিলেন। কিন্তু সোবাহান বা তার পরিবারের কেউ দান করেননি। তাহলে তিনি কিভাবে প্রতিষ্ঠাতা দাবি করেন? দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগ করার কারণে তার মধ্যে স্বৈরাচারী মনোভাব রয়ে গেছে।”
এলাকাবাসীর অভিযোগ, আব্দুস ছোবাহান দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন ওলামালীগের ফকিরপাড়া ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তবে ৫ আগস্টের পর তিনি বিএনপির অঙ্গসংগঠন ওলামা দলের উপজেলা সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান।
অভিযোগের বিষয়ে আব্দুস ছোবাহান বলেন, “ওই মাদ্রাসা দখল করা হয়নি। আমি দায়িত্ব পালন করছি মাত্র। অন্য কেউ চাইলে আমি পদ থেকে সরে দাঁড়াবো।”
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম মিঞা জানান, “মাদ্রাসা দখল ও অবৈধ নিয়োগের বিষয়ে তদন্ত চলছে। দ্রুত এর সমাধান হবে।”
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।