সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের ১৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন

নিউজফ্ল্যাশ ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১৩:১৮

ছবি: সংগৃহীত

সুন্দরবন উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরার চিকিৎসা শিক্ষার অগ্রদূত সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ আজ উদযাপন করছে তাদের ১৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। ২০১১ সালের ৫ জানুয়ারি মাত্র ৫০ শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করা এই কলেজ আজ শিক্ষার্থীদের সাফল্য ও উন্নত পরিকাঠামোর প্রতীক হিসেবে পরিচিত।

প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে এসএমসি ডে-২০২৫ নামের অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হবে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উপস্থিতিতে। সকাল ৯.৩০টায় র‍্যালি ও আলোচনা সভা, প্রীতি ফুটবল খেলা, দুপুরে মধ্যাহ্নভোজ এবং বিকেলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হবে।

কলেজের অধ্যক্ষ ডা. রুহুল কুদ্দুস জানান, প্রতিষ্ঠার পর থেকে মেডিকেল কলেজে প্রতি ব্যাচে ধীরে ধীরে শিক্ষার্থী সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে কলেজে ৩২৩ জন শিক্ষার্থী রয়েছে, যার মধ্যে ৩০০ জন আবাসিক। কলেজে মোট ২৪টি ডিপার্টমেন্ট এবং পোস্টগ্র্যাজুয়েশনের জন্য ৬টি অনুমোদিত বিভাগ রয়েছে। এমএস, এমডি ও এফসিপিএস প্রশিক্ষণও প্রদান করা হয়।

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা দেশব্যাপী পরীক্ষায় অসাধারণ ফলাফল অর্জন করেছে। সর্বশেষ ব্যাচে ৫০ জন শিক্ষার্থী চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৪৭ জন এমবিবিএস পাশ করেছেন, পাশের হার ৯৪%।

কলেজে শিক্ষার্থীদের জন্য উন্নত আবাসিক ব্যবস্থা, ইনডোর-আউটডোর খেলার সুবিধা, সুসজ্জিত টিভি রুম, পরিচ্ছন্ন ডাইনিং ও গেস্ট রুম, সিসিটিভি নিরাপত্তা, সমৃদ্ধ লাইব্রেরি ও ফ্রি ওয়াইফাই সুবিধা রয়েছে। বিশেষভাবে হিস্টো-প্যাথলজি ল্যাব, কোভিড-১৯ আরটি-পিসিআর ল্যাবসহ অন্যান্য ল্যাব শিক্ষার্থীদের ব্যবহার উপযোগী।

ডা. রুহুল কুদ্দুস আরও জানান, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ শতভাগ ডিজিটালাইজড এবং স্মার্ট মেডিকেল কলেজ হিসেবে পরিচিত। সম্প্রসারণ, নতুন অডিটোরিয়াম ও আরও কর্মচারী নিয়োগের প্রয়োজন থাকলেও জনবল সংকট থাকা সত্ত্বেও চিকিৎসা শিক্ষায় কলেজের সাফল্য অব্যাহত রয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাতক্ষীরার শ্যামনগরে মেডিকেল কলেজ স্থাপনের ঘোষণা দেন। এরপর ২০১১ সালে অস্থায়ী ক্যাম্পাসে যাত্রা শুরু হয় এবং ২০১৩ সালে স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তরিত হয়। ২০১৫ সালে উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ আজও শিক্ষার্থীদের জন্য অনন্য শিক্ষণীয় পরিবেশ এবং চিকিৎসা শিক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top