শরীফ ওসমান হাদিকে গুলি,সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদের বাড়িতে কাউকে পাওয়া যায়নি

ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় সন্দেহভাজন যুবক ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে রাহুলের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। ফয়সালের বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় হলেও পরিবারটি বহু আগেই এলাকা ছেড়ে চলে গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ ও স্থানীয়রা।

পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ফয়সাল করিম মাসুদের স্থায়ী ঠিকানা বাউফল উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডে, কেশবপুর কলেজ সংলগ্ন এলাকায়। তার বাবার নাম হুমায়ুন কবির। বর্তমানে তিনি রাজধানীর আদাবর থানাধীন পিস কালচার হাউজিং সোসাইটিতে বসবাস করছেন। ফয়সালের বিরুদ্ধে আদাবর থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদ আদাবর থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি। এর আগে গত মাসে আদাবর এলাকায় একটি স্কুলে ঢুকে অস্ত্রের মুখে ১৭ লাখ টাকা লুটের ঘটনায় তিনি গ্রেপ্তার হন। তবে এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে তিনি জামিনে মুক্তি পান।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ফয়সালের পরিবার অন্তত ৫০ বছর আগে বাউফল এলাকা ছেড়ে ঢাকায় চলে যায়। তার বাবা পড়াশোনা শেষ করার পর থেকেই ঢাকায় বসবাস করছেন। স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, ফয়সালকে তারা কখনো এলাকায় দেখেননি। এছাড়া প্রায় ১০-১২ বছর আগে পরিবারের পুরোনো বসতঘরটিও বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, “ফয়সালের স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে কেশবপুর এলাকায় খোঁজ নিয়ে তেমন কিছু পাওয়া যায়নি। পরিবারটি অনেক আগেই এলাকা ছেড়ে গেছে এবং পুরোনো বসতঘরও বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। তারপরও আমরা বিষয়টি নজরে রেখে খোঁজখবর চালিয়ে যাচ্ছি।”

পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. আবু ইউসুফ বলেন, “ঘটনার খবর পাওয়ার পর থেকেই বিষয়টি আমরা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাউফলসহ সংশ্লিষ্ট এলাকায় পুলিশি তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা নিশ্চিত হয়েছি যে ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে রাহুলের পরিবারের কেউ বর্তমানে ওই এলাকায় বসবাস করছেন না। সম্ভাব্য যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় এলাকায় বাড়তি নজরদারি রাখা হয়েছে। সেখানে তার উপস্থিতি পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এনএফ৭১/ওতু