রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২

আড়াইহাজারে রংমিস্ত্রি আবরাহাম খান হত্যা: রাব্বি গ্রেপ্তার, চাঞ্চল্যকর তথ্য উদঘাটন

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি | প্রকাশিত: ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৫৯

ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে রংমিস্ত্রি আবরাহাম খান ওরফে আলিম খান হত্যাকাণ্ডে জড়িত মো. রুহুল আমিন ওরফে রাব্বিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে পিবিআই নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মো. মোস্তফা কামাল রাশেদ এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর মধ্য বাড্ডা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার রুহুল আমিন ওরফে রাব্বি রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার কাচারীপাড়া এলাকার মো. মনজু শেখের ছেলে। নিহত রংমিস্ত্রি আবরাহাম খান (২৭) একই উপজেলার ওয়াজেদ আলি খানের ছেলে।

মস্তকবিহীন মরদেহ উদ্ধার, পরিচয় শনাক্ত

পুলিশ সুপার মোস্তফা কামাল রাশেদ জানান, গত ১৬ ডিসেম্বর সকালে আড়াইহাজার উপজেলার শ্রীনিবাসদী এলাকায় বালুর মাঠ সংলগ্ন রাস্তার পাশ থেকে একটি মস্তকবিহীন মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। খবর পেয়ে পিবিআইয়ের ক্রাইম সিন টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ করে নিহতের পরিচয় নিশ্চিত করে।

নিখোঁজের পর হত্যা মামলা

তদন্তে জানা যায়, ১৫ ডিসেম্বর সকালে ঢাকার উদ্দেশ্যে নিজ বাড়ি থেকে বের হন আবরাহাম খান। ওইদিন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বোনের সঙ্গে সর্বশেষ ফোনে কথা হয় তার। এরপর থেকেই মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা ওয়াজেদ আলী খান বাদী হয়ে আড়াইহাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই।

পরকীয়া ও ব্ল্যাকমেইল থেকেই হত্যার পরিকল্পনা

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার রুহুল আমিন হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জানান, নিহত আবরাহাম খানের সঙ্গে তার খালার পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি পারিবারিকভাবে জানাজানি হলে আবরাহাম তার খালাকে ব্ল্যাকমেইল করতে শুরু করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে খালাকে সঙ্গে নিয়ে পরিকল্পনা করে তাকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেন।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, ১৫ ডিসেম্বর আবরাহামকে রাজবাড়ী থেকে আড়াইহাজারে ডেকে এনে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরে পরিচয় গোপন করতে তার মাথা বিচ্ছিন্ন করে দা ও মস্তক একটি ব্যাগে ভরে পাশের একটি খালে ফেলে দেওয়া হয়। নিহতের পরিহিত জামাকাপড়ও খুলে নেওয়া হয়।

উদ্ধার হলো মস্তক ও হত্যায় ব্যবহৃত দা

পুলিশ জানায়, স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে ১৮ ডিসেম্বর একটি খাল থেকে নিহতের মস্তক, হত্যায় ব্যবহৃত দা এবং একটি জ্যাকেটের অংশবিশেষ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ সুপার মোস্তফা কামাল রাশেদ আরও জানান, হত্যার পরিকল্পনায় জড়িত রুহুল আমিনের খালা ও অন্যান্যদের শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। গ্রেপ্তার রাব্বিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

আড়াইহাজারে রংমিস্ত্রি আবরাহাম খান হত্যা: রাব্বি গ্রেপ্তার, চাঞ্চল্যকর তথ্য উদঘাটন

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে রংমিস্ত্রি আবরাহাম খান ওরফে আলিম খান হত্যাকাণ্ডে জড়িত মো. রুহুল আমিন ওরফে রাব্বিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে পিবিআই নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মো. মোস্তফা কামাল রাশেদ এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর মধ্য বাড্ডা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার রুহুল আমিন ওরফে রাব্বি রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার কাচারীপাড়া এলাকার মো. মনজু শেখের ছেলে। নিহত রংমিস্ত্রি আবরাহাম খান (২৭) একই উপজেলার ওয়াজেদ আলি খানের ছেলে।

মস্তকবিহীন মরদেহ উদ্ধার, পরিচয় শনাক্ত

পুলিশ সুপার মোস্তফা কামাল রাশেদ জানান, গত ১৬ ডিসেম্বর সকালে আড়াইহাজার উপজেলার শ্রীনিবাসদী এলাকায় বালুর মাঠ সংলগ্ন রাস্তার পাশ থেকে একটি মস্তকবিহীন মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। খবর পেয়ে পিবিআইয়ের ক্রাইম সিন টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ করে নিহতের পরিচয় নিশ্চিত করে।

নিখোঁজের পর হত্যা মামলা

তদন্তে জানা যায়, ১৫ ডিসেম্বর সকালে ঢাকার উদ্দেশ্যে নিজ বাড়ি থেকে বের হন আবরাহাম খান। ওইদিন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বোনের সঙ্গে সর্বশেষ ফোনে কথা হয় তার। এরপর থেকেই মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা ওয়াজেদ আলী খান বাদী হয়ে আড়াইহাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই।

পরকীয়া ও ব্ল্যাকমেইল থেকেই হত্যার পরিকল্পনা

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার রুহুল আমিন হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জানান, নিহত আবরাহাম খানের সঙ্গে তার খালার পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি পারিবারিকভাবে জানাজানি হলে আবরাহাম তার খালাকে ব্ল্যাকমেইল করতে শুরু করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে খালাকে সঙ্গে নিয়ে পরিকল্পনা করে তাকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেন।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, ১৫ ডিসেম্বর আবরাহামকে রাজবাড়ী থেকে আড়াইহাজারে ডেকে এনে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরে পরিচয় গোপন করতে তার মাথা বিচ্ছিন্ন করে দা ও মস্তক একটি ব্যাগে ভরে পাশের একটি খালে ফেলে দেওয়া হয়। নিহতের পরিহিত জামাকাপড়ও খুলে নেওয়া হয়।

উদ্ধার হলো মস্তক ও হত্যায় ব্যবহৃত দা

পুলিশ জানায়, স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে ১৮ ডিসেম্বর একটি খাল থেকে নিহতের মস্তক, হত্যায় ব্যবহৃত দা এবং একটি জ্যাকেটের অংশবিশেষ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ সুপার মোস্তফা কামাল রাশেদ আরও জানান, হত্যার পরিকল্পনায় জড়িত রুহুল আমিনের খালা ও অন্যান্যদের শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। গ্রেপ্তার রাব্বিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top