দেশে পলিস্টাইরিন ফেব্রিকস উৎপাদন করবে প্রাণ-আরএফএল

সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও প্লাস্টিকের ব্যবহার বাড়ছে। ব্যবহৃত প্লাস্টিক যত্রতত্র ছড়িয়ে ডেকে আনছে পরিবেশ বির্পযয়। সেই বিপর্যয় রোধে এগিয়ে এসেছে দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠান প্রাণ-আরএফএল। ব্যবহৃত প্লাস্টিক রিসাইক্লিং করে এতদিন মগ, চেয়ার তৈরি করলেও এবার পলিস্টাইরিন ফেব্রিক তৈরির পরিকল্পনা করছে প্রতিষ্ঠানটি।

কোমলপানীয় বা জুসের পিইটি বোতল চূর্ণ থেকে এই ফেব্রিক তৈরি হবে দেশেই। আর সেই ফেব্রিক থেকেই সুতা ও গার্মেন্টসপণ্য তৈরি করতে চায় শিল্পগ্রুপটি। এরই মধ্যে নীতিগত সিদ্ধান্ত, মেশিন কেনা ও ফ্যাক্টরির জায়গা নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। পরিকল্পনা রয়েছে আগামী দুই বছরের মধ্যে উৎপাদনে যাওয়ার।

এ বিষয়ে আরএফএল রিসাইক্লিং প্রজেক্টের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল বলেন, 'আমরা সব ধরনের প্লাস্টিক রিসাইকেল করি। পলিস্টাইরিনের বিষয়টি আমাদের নাগালের বাইরে ছিল। এটা আমরা শুরু করেছি।'

জানা যায়, প্রতিবছর প্রাণ-আরএফএল প্রায় তিন লাখ মেট্রিক টন প্লাস্টিকপণ্য উৎপাদন করে। ২০১২ সাল থেকে তারা প্লাস্টিকপণ্য রিসাইক্লিং কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত আছে। প্রতিবছর প্রায় ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যবহৃত প্লাস্টিক সংগ্রহ করে তারা। এখান থেকে উৎপন্ন হয় প্রায় ২৭ হাজার মেট্রিক টন কাঁচামাল। আমদানি করলে এ পরিমাণ কাঁচামালের আর্থিকমূল্য হতো প্রায় ৪শ কোটি টাকা। প্লাস্টিক রিসাইক্লিং খাতে গ্রুপটির এ পর্যন্ত মোট বিনিয়োগ প্রায় ৩২০ কোটি টাকা। এতে প্রায় দুই হাজার লোকের সরাসরি এবং চার হাজার লোকের পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থান হয়েছে।

এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১