ডুমুরিয়ার নলঘোনা বিলের তরমুজ যাচ্ছে সিলেটের শ্রীমঙ্গলে

এস কে বাপ্পি, ডুমুরিয়া (খুলনা) প্রতিনিধি | প্রকাশিত: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫:৪৯

ছবি: সংগৃহীত

খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার নলঘোনা বিলে মাচা পদ্ধতিতে হচ্ছে বর্ষাকালীন তরমুজের ব্যাপক চাষ। মিষ্টি ও সুস্বাদু স্বাদের কারণে এ তরমুজ বাজারে ব্যাপক চাহিদা পেয়েছে। স্থানীয় বাজার ছাড়িয়ে সিলেটের শ্রীমঙ্গল বাজারেও যাচ্ছে এ অঞ্চলের তরমুজ।

কৃষকরা জানান, জমিতে পানি জমে থাকার কারণে তারা নতুন কৃষি পদ্ধতিতে মাছের ঘেরে মাচা তৈরি করে তরমুজ চাষ করছেন। একই জমিতে মাছ, তরমুজ ও শাকসবজি চাষ করে বাড়তি লাভবান হচ্ছেন তারা। আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির কারণে প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেও সফল হচ্ছেন কৃষকরা।

একেকটি তরমুজের ওজন ৪ থেকে ৫ কেজি, ভিতরে টুকটুকে লাল, খেতে অত্যন্ত মিষ্টি ও সুস্বাদু। নলঘোনা, রাজিবপুর দক্ষিণমহল, রাজাপুর, মৈখালী, ঘোনাবান্দা, উলা, তালতলা, লোহাইডাঙ্গা ও কাটাখালী গ্রামের প্রায় ৪-৫ শতাধিক কৃষক এবার বর্ষাকালীন তরমুজ চাষ করেছেন। যদিও অতিবৃষ্টির কারণে ফলন কিছুটা কম হয়েছে, তবে বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। প্রতি বিঘায় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা লাভ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় চাষিরা।

গত বুধবার বিকেলে রাজিবপুর দক্ষিণমহল তালতলা মোড়ে দেখা যায়, নলঘোনা বিলের তরমুজ ট্রাকে বোঝাই করে শ্রীমঙ্গলে পাঠানো হচ্ছে। কৃষক মো. ওসমান গনি জানান, প্রায় আড়াই বিঘা জমিতে তিনি প্রথমবারের মতো তরমুজ চাষ করেছেন। ২৮০ মাদায় ৫৬০টি চারা রোপণ করেছিলেন। শুরুতে প্রতিকেজি ৫০-৫৫ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে ৩৬-৩৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অন্য কৃষক আবুল কালাম শেখ বলেন, তিনি দুই একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন। প্রতিটি তরমুজের ওজন ৪-৫ কেজি হওয়ায় এবং ভালো দাম পাওয়ায় তিনি লাভবান হবেন বলে আশা করছেন।

তরমুজ ব্যবসায়ী নাজমুল গাজি ও হাফিজুর রহমান জানান, স্থানীয় বাজারের তুলনায় শ্রীমঙ্গলে তরমুজের দাম বেশি। যদিও ট্রাক ভাড়া বেশি, তবুও তুলনামূলক ভালো দাম পাওয়ায় তারা বাহিরে সরবরাহ করছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ইনসাদ ইবনে আমিন জানান, ডুমুরিয়ায় এ বছর ২৩০ হেক্টর জমিতে অফসিজন তরমুজ চাষ হয়েছে। হেক্টরপ্রতি ৪০ থেকে ৪৫ মেট্রিক টন উৎপাদন হয়েছে। বিশেষ করে নলঘোনা, কুলবাড়িয়া, খুটোখালী, শোভনা, আটলিয়া, পাতিবুনিয়াসহ দক্ষিণ ডুমুরিয়ার বিভিন্ন এলাকায় এ তরমুজের চাষ হয়েছে।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top