গান রেকর্ড না করে টাকা আত্মসাৎ করেন নোবেল
Nasir Uddin | প্রকাশিত: ২১ মে ২০২৫, ১৮:৫৩

বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ে না বাংলাদেশি গায়ক মইনুল আহসান নোবেলকে। কখনও নেশা, কখনও নারী কেলেঙ্কারী, কখনও অর্থ নিয়ে কাজ না করার অভিযোগ। এমন নানান অভিযোগে অভিযুক্ত এই শিল্পী। বর্তমানে নারী নির্যাতন মামলায় জেলে আছেন নোবেল। এবার আরো একটি অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
জনপ্রিয় গানের প্রতিষ্ঠান `ফ্ল্যাশ মিউজিক‘ এর কাছ থেকে অর্থ নিয়ে কাজ করেন নাই নোবেল। ফেরত দেন নাই অগ্রিম নেয়া পঞ্চাশ হাজার টাকা।
একটি গান রেকর্ড করে দেয়ার চুক্তি হয় শিল্পী নোবেলের সাথে। কথা ছিল এক লাখ টাকার বিনিময়ে গানটি রেকর্ড করে দিবেন ১-১২-২৪ তারিখের মধ্যে। এ কাজের জন্য ২০২৪ সালের ১৪ ডিসেম্বর নোবেল তার পারিশ্রমিকের অর্ধেক (৫০,০০০ টাকা) অগ্রিম নেন।
নোবেলের কথামত অন্য গীতিকারের লেখা গান পাঠালে সে কোনো সাড়া দেন না। পরে তার সহকারীর সাথে যোগাযোগ করলে ৪ ডিসেম্বর রেকর্ড করার কথা বলেন।
তবে ৪ তারিখে সারাদিন অপেক্ষা করলেও নোবেল ফ্ল্যাশ মিউজিকের অফিসে আসেন না। পরে রাত ৯ টার দিকে তার সহযোগী জানান, গান রেকর্ড করতে হলে নোবেলের ঢাকার ডেমরার স্টুডিওতে যেতে হবে। এবং সেটা ওই রাতের মধ্যেই, না গেলে আর গান রেকর্ড করা হবে না।
এসময় ফ্ল্যাশ মিউজিক টিম নোবেলের স্টুডিওতে রওয়ানা দেন। আসার পথে নোবেল ফোন করে জানায়, গানের কথা তার পছন্দ হয় নি। এ নিয়ে ফোনে সে অকথ্য ভাষা ব্যবহার করে। তবে নোবেলের সহযোগী তাদের অফিসে যাবার জন্য অনুরোধ করে।
এর পরে রাত ১২ টার দিকে নোবেলের স্টুডিওতে ফ্ল্যাশ গিয়ে দেখতে পান শিল্পী নোবেলসহ কয়েকজন তখন নেশায় বিভোর। এসময় নোবেল ওই গান রেকর্ড করবেন না বলে জানান।
এসময় নোবেলের নেয়া অগ্রীম ৫০,০০০ টাকা চাইলে তখন বিভিন্ন জনকে দিয়ে চাপ দিতে থাকে চুক্তি বাতিল না করতে এবং অন্য গান নিতে বলে। এভাবে ভোর ৪ টা পর্যন্ত ফ্ল্যাশ মিউজিক টিমের সাথে ভয়-ভীতি দেখানো হয় এবং আরো ৫০,০০০ টাকা দিতে চাপ দেয় নোবেল। পরে খারাপ পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে সকালে টাকা নিয়ে আসবে এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওখান থেকে বের হয়ে আসে ফ্ল্যাশ মিউজিক টিম।
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।