সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ৫ কার্তিক ১৪৩২

৩০ বছরে ‘ডিডিএলজে’, স্মৃতিচারণ করলেন কাজল

ওলিউল্লাহ তুহিন | প্রকাশিত: ২০ অক্টোবর ২০২৫, ১৭:৪১

সংগৃহীত

বলিউডের কালজয়ী প্রেমকাহিনি ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’ (ডিডিএলজে) আজ পূর্ণ করল গৌরবময় ৩০ বছর। ১৯৯৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত শাহরুখ খান ও কাজল অভিনীত এই ছবিটি শুধু এক রোম্যান্টিক সিনেমা নয়, বরং এক প্রজন্মের আবেগ, ভালোবাসা আর স্মৃতির প্রতীক হয়ে উঠেছে।

‎এই বিশেষ উপলক্ষে ছবির অন্যতম প্রধান চরিত্র ‘সিমরান’-এর ভূমিকায় অভিনয় করা কাজল এক আবেগঘন বার্তায় জানালেন, সময় বদলালেও তিনি এই চরিত্রে একটুও পরিবর্তন আনতে চাইতেন না। তাঁর কথায়, "আমরা যখন এই ছবিটা বানাচ্ছিলাম, তখন ভাবিইনি যে আমরা কোনো উত্তরাধিকার রেখে যাচ্ছি। আমরা শুধু একটা ভালো ছবি বানাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আজ আমি কৃতজ্ঞ, কারণ এত মানুষ এই ছবিকে ভালোবেসেছেন, একে নিজেদের জীবনের অংশ বানিয়েছেন।" 

‎ছবির প্রভাব নিয়ে কাজল আরও বলেন, অনেক দর্শক তাঁর কাছে এসে জানিয়েছেন, ‘ডিডিএলজে’ দেখতে গিয়েই তাঁরা প্রেমে পড়েছিলেন। এমনকি তাঁদের সন্তানেরাও এই সিনেমা দেখেছে, কারণ এটি তাঁদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ।

‎‘ডিডিএলজে’-র সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিকগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো মুম্বইয়ের ঐতিহাসিক মারাঠা মন্দির সিনেমা হলে ছবিটির টানা প্রদর্শন। ৩০ বছর ধরে একটানা প্রদর্শিত হওয়া এই সিনেমা গড়েছে এক অনন্য রেকর্ড। এ প্রসঙ্গে কাজল বলেন, "যদি আজও মারাঠা মন্দিরে এই সিনেমা চলছে এবং ঈশ্বর করুন যেন এটা চলতেই থাকে, সেটা সম্ভব হয়েছে কারণ সবাই এটাকে নিজেদের জীবনের অংশ করে তুলেছেন। প্রতিটি দর্শক ও ভক্তকে অসংখ্য ধন্যবাদ।"

‎চরিত্রে কোনো পরিবর্তন আনতে চান কি না—এমন প্রশ্নের উত্তরে কাজল জানান, "আমি কিছুই পরিবর্তন করতাম না, না চরিত্রে, না গল্পে। এই ছবি ৩০ বছর আগে তৈরি হয়েছিল, সেই সময়ের প্রেক্ষাপটে যা একেবারে সঠিক ছিল। আজকের দিনে যদি বানানো হতো, তাহলে হয়তো একদম আলাদা গল্প হতো। কিন্তু ওই সময়, ওই ভাবনা ছাড়া ডিডিএলজে এমন হতো না।"

‎তিন দশক পার হলেও রাজ আর সিমরানের ভালোবাসা, ছবির সংলাপ, সংগীত, আর আবেগ—সবকিছু আজও দর্শকের হৃদয়ে গাঁথা। ‘ডিডিএলজে’ এখন কেবল একটি সিনেমা নয়, বরং বলিউডের রোম্যান্টিক ইতিহাসে এক অমর অধ্যায়।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top