• ** জাতীয় ** আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি : শেখ হাসিনা ** আবারও তিন দিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি ** চুয়াডাঙ্গায় হিট স্ট্রোকে দুই নারীর মৃত্যু ** ইউআইইউ ক্যাম্পাসে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’ নিয়ে তোলপাড় সারাদেশ ** সিলেটে মসজিদে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে ইমামের মৃত্যু ** নরসিংদীতে হিট স্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু ** সব ধরনের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন : https://www.newsflash71.com ** সব ধরনের ভিডিও দেখতে ভিজিট করুন : youtube.com/newsflash71 ** লাইক দিন নিউজফ্ল্যাশের ফেসবুক পেইজে : fb/newsflash71bd **


প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীকে মারধর, জড়িতদের বিচারের দাবি পরিবারের

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১০ এপ্রিল ২০২২, ০১:৩৭

প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীকে মারধর, জড়িতদের বিচারের দাবি পরিবারের

রাজধানীর মালিবাগে সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজের কর্মকর্তা ও কর্মীদের দ্বারা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী তাওসিফ আহনাফকে মারধরের ঘটনায় বিচার চেয়েছে তার পরিবার।

শনিবার (৯ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে তাওসিফকে নির্যাতনের প্রতিবাদে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানান তারা।

মানববন্ধনে তাওসিফের বাবা সুরুজ মিয়া বলেন, আমার বাচ্চার বয়স ১৫ বছর। তবে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী হওয়ায় তার আচরণ ছয় বছরের শিশুর মতো। মালিবাগের কল্যাণী ইনক্লুসিভ প্রাইমারি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণিতে পড়াশোনা করে সে। প্রতিদিনের মতো ২৯ মার্চ স্কুলে গিয়েছিল। কিন্তু গেটের সামনে থেকে তাওসিফ ‘স্কুলে যাব না, তোমার সঙ্গে অফিসে যাব’ বলে বায়না ধরে। এসময় তাকে স্কুলের গেটে নামিয়ে আমি একটু এগিয়ে যাই। তখন ও পেছন থেকে দৌড়ে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে অফিসে যেতে চায়।

তিনি বলেন, ওর স্কুলের ঠিক পাশেই সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজের গেটে দাঁড়িয়ে তিনটি মেয়ে আমাদের দেখে হাসাহাসি করছিল। এগুলো দেখে আমার ছেলে ওই মেয়েদের গিয়ে বলে, ‘তাকাবা না’। প্রতিটি বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুর কিছু না কিছু বৈশিষ্ট্য থাকে। তাওসিফের দিকে কেউ তাকালে সে বলে- তাকাবা না। তখন জবাবে কেউ যদি বলে, ‘ঠিক আছে তাকাব না’ তাহলে সে শান্ত হয়ে যায়। তবে আমি যখন ছেলেকে বোঝাচ্ছি, তখন মেয়েগুলো হাসছিল। এরপর তাওসিফ তাদের দিকে এগিয়ে গেলে মেয়েগুলো চিৎকার করে দৌড়ে কলেজের ভেতর চলে যায়। তাওসিফও তাদের পেছনে যায়।

এ সময় সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজের সচিব মহিন উদ্দিন তাওসিফকে মারধর শুরু করেন। দ্রুত আমি সেখানে গিয়ে তাকে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু বলে থামানোর চেষ্টা করি। এরপরও তিনি আমার ছেলের দুই গালে আরও দুটি থাপ্পড় দেন। যা দেখা ছিল আমার জন্য অত্যন্ত কষ্টের। আমি প্রতিবাদ করলে সিকিউরিটি গার্ডরা আমাকেও মারতে উদ্যত হয়। খবর পেয়ে তাওসিফের স্কুল থেকে শিক্ষক ও অভিভাবকেরা এসে প্রতিবাদ করেন। পরে ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।’

সুরুজ মিয়া বলেন, এই ঘটনায় তাওসিফ আহনাফ অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে ঢাকা কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এছাড়াও ওই ঘটনায় মেডিকেল কলেজ থেকে প্রকাশিত ভিডিও সিসিটিভি ফুটেজ খণ্ডিত চিত্র। আসল ঘটনা রুমের ভেতরে ঘটেছিল। সেখানে তারা আমার ছেলেকে মারধর করেছে। কিন্তু সেই বিষয়টি আড়াল রয়েছে। আমরা এ ঘটনার সুস্থ তদন্ত দাবি জানাই ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

এনএফ৭১/আরআর/২০২২




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top