• ** জাতীয় ** আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি : শেখ হাসিনা ** আবারও তিন দিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি ** চুয়াডাঙ্গায় হিট স্ট্রোকে দুই নারীর মৃত্যু ** ইউআইইউ ক্যাম্পাসে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’ নিয়ে তোলপাড় সারাদেশ ** সিলেটে মসজিদে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে ইমামের মৃত্যু ** নরসিংদীতে হিট স্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু ** সব ধরনের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন : https://www.newsflash71.com ** সব ধরনের ভিডিও দেখতে ভিজিট করুন : youtube.com/newsflash71 ** লাইক দিন নিউজফ্ল্যাশের ফেসবুক পেইজে : fb/newsflash71bd **


ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের টাকা ছিনতাই

মাস্টারমাইন্ড গ্রেপ্তার, আরও ৫৮ লাখ টাকা উদ্ধার

রাজিউর রাহমান | প্রকাশিত: ১৪ মার্চ ২০২৩, ২২:৫২

ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের সংবাদ সম্মেলন

রাজধানীর উত্তরায় ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের সোয়া ১১ কোটি টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত মাস্টারমাইন্ড আকাশকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ। এ সময় ৫৮ লাখ ৭ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে ছিনতাই হওয়া সোয়া ১১ কোটি টাকার মধ্যে ৭ কোটি এক লাখ ১০ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার হলো।

মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এ কথা জানান।

ডিবি প্রধান বলেন, টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা বাস্তবায়নে বিভিন্ন স্তরে বিভিন্ন গ্রুপ ভিন্ন ভিন্ন দায়িত্বে ছিল। কেউ ছিল পরিকল্পনাকারী, কেউ মোবাইল ও সিম সংগ্রহকারী, কেউ শুধুমাত্র ঘটনার সময় ভাড়াটে হিসেবে কাজ করেছে।

মূল পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নকারী হিসেবে ৪/৫ জন কাজ করে জানিয়ে ডিবিপ্রধান বলেন, এদের মধ্যে আকাশ ও সোহেল রানা ডাকাতির মূল ছক সাজায়। ডাকাতির মূল হোতা আকাশ টাকা লুটের পর মাইক্রোবাসে উঠতে না পারলেও সেখান থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

হারুন জানান, আকাশ তার পূর্বপরিচিত ইমন মিলনের কাছে ডাকাতির বিষয়টি শেয়ার করে এবং তাকে এই কাজে যুক্ত হওয়ার প্রস্তাব দেয়। তাকেই মূলত জনবল সংগ্রহের দায়িত্ব দেয়া হয়। ইমন মিলনের পূর্বপরিচিত সানোয়ারকে অবগত করে এবং জনবল যোগান, সিম সংগ্রহ ও মোবাইলফোন কেনার দায়িত্ব দেয়।

ডিবি প্রধান বলেন, সানোয়ার আটটি নতুন সিম এবং মোবাইল সেট জোগাড় করে এবং তার নিজ জেলা সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনা থেকে ডাকাতির কাজে মোট নয়জন সদস্য সংগ্রহ করে। পরবর্তীতে তারা প্রত্যেকে ঘটনার দুইদিন আগে ঢাকায় এক হয়। পরিকল্পনাকারীরা তাদেরকে ঢাকায় এনে নতুন কাপড়ের জুতা কিনে দেয়।

মোহাম্মদ হারুন আরও বলেন, মাস্টারমাইন্ড আকাশ, সোহেল রানা, ইমন মিলন এবং সানোয়ারের কাছে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের টাকা লুটের বিষয়টি গোপন রাখে।

তারা তাদেরকে জানায়, তারা কিছু অবৈধ হুন্ডির টাকা লুট করবে সেখানে প্রশাসনের লোক থাকবে। পরবর্তীতে ঘটনার দিন সবাই একত্রিত হয়ে মাইক্রোবাসে উঠার পর বুঝতে পারে বড় কিছু ঘটতে যাচ্ছে। ডাকাতির পর মূলহোতা আকাশ মাইক্রোবাসের উঠতে না পারায় তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।

এরআগে, ৯ মার্চ রাতে মানি প্ল্যান্ট লিংক প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক আলমগীর হোসের বাদী হয়ে ডিএমপির তুরাগ থানায় মামলা করেন। সোয়া ১১ কোটি টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় করা এ মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।

গত ৯ মার্চ সকাল ৭টার পরে রাজধানীর উত্তরা ১৬ নম্বর সেক্টরের ১১ নম্বর ব্রিজ সংলগ্ন এলাকা থেকে বেসরকারি ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের টাকা বহনকারী গাড়ি থেকে প্রায় সোয়া ১১ কোটি টাকা ছিনতাই হয়। পরে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানেই উত্তরা এলাকা থেকে ছিনতাই হওয়া টাকাভর্তি চার বক্সের মধ্যে তিনটি উদ্ধারের কথা জানায় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top