স্তন ক্যান্সার শনাক্তের প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে বুয়েট শিক্ষার্থীদের বিশ্বজয়
নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ৪ মে ২০২৫, ১৭:৩৫

নিওস্ক্রিনিক্স। বুয়েটের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের পাঁচ শিক্ষার্থীর একটি দল। দলটি প্রাথমিক পর্যায়ে স্তন ক্যান্সার শনাক্ত করার প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। আর এভাবেই জন হপকিন্স হেলথকেয়ার ডিজাইন কম্পিটিশনে ডিজিটাল হেলথ ট্র্যাক ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। প্রতিবছর আন্তর্জাতিক এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে দ্য জনস হপকিনস সেন্টার ফর বায়োইঞ্জিনিয়ারিং ইনোভেশন অ্যান্ড ডিজাইনিং।
এটি যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিকেল প্রকৌশল বিভাগের একটি প্রতিষ্ঠান। এবারের প্রতিযোগিতায় তিনটি বিভাগে অংশ নেয় ৪৪ দেশের প্রায় ৪৪০টি প্রস্তাবনা। প্রতিযোগিতার ‘ডিজিটাল হেলথ ট্র্যাক’ বিভাগে হার্ভার্ড, এমআইটি, স্ট্যানফোর্ড, ক্যালটেকের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হারিয়েছে তারা। সবাইকে হারিয়ে প্রথম হয়েছে বুয়েটের নিওস্ক্রিনিক্স দল।
এই প্রতিযোগিতার উদ্দেশ্য, বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের দলগুলো থেকে স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে যেকোনো সমস্যার উদ্ভাবনী সমাধান পাওয়া। যেকোনো দেশের, যেকোনো শিক্ষা ক্ষেত্র থেকে দলগুলো এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারে।
প্রতিযোগিতা তিনটি বিভাগে হয়ে থাকে, যেগুলো হচ্ছে– সলিউশনস ফর অ্যাডভান্সড হেলথ সিস্টেমস, গ্লোবাল হেলথ/হিউম্যানিট্যারিয়ান ডিজাইন, ডিজিটাল হেলথ। এর মধ্যে ডিজিটাল হেলথ বিভাগে এই বছরের প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বুয়েটের দল নিওস্ক্রিনিক্স।
নিওস্ক্রিনিক্স এমন একটি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে, যার সাহায্যে কোনো নারী নিজেই তাঁর স্তন ক্যান্সারের সম্ভাব্যতা যাচাই করতে পারবেন। যেখানে একজন নারী স্তনের স্ক্রিনিং করতে পারবেন এআই-এর সাহায্যে। এছাড়াও লক্ষণ দেখে একদম প্রাথমিক পর্যায়েই স্তন ক্যান্সার শনাক্ত করা সম্ভব হবে।
টিম নিওস্ক্রিনিক্স সম্পর্কে জানতে চাইলে হাসনাইন আদিল বলেন, আমাদের দল ‘নিওস্ক্রিনিক্স’-এ পাঁচজন টিম মেম্বার রয়েছে। প্রজেক্ট ডিজাইনার হিসেবে কাজ করেছে ফাহমিদা সুলতানা, মেশিন লার্নিং ডেভেলপার হিসেবে এইচ এম শাদমান তাবিব, ব্যাকএন্ড ডেভেলপার হিসেবে সাদাতুল ইসলাম সাদি, ফ্রন্টএন্ড ডেভেলপার হিসেবে হাসনাইন আদিল এবং হার্ডওয়্যার ডেভেলপার হিসেবে কাজ করেছে পৃথু আনান।
সবাই বুয়েটের সিএসই ডিপার্টমেন্টের ২০ ব্যাচে অধ্যয়নরত। আমাদের প্রজেক্ট সুপারভাইজার আছেন অধ্যাপক সোহেল রহমান স্যার। ডেটা কালেকশনে সাহায্য করেছে ঢাকা মেডিকেল কলেজের জারিন তাসনিম ঐশী এবং রংপুর মেডিকেলের রিবাতুল ইসলাম।
পুরস্কার হিসেবে টিম নিওস্ক্রিনিক্স পেয়েছে পাঁচ হাজার মার্কিন ডলার বা প্রায় ছয় লাখ টাকা। নিজেদের পড়াশোনা ও গবেষণায় এই অর্থ কাজে লাগাতে চান তারা। তাদের পুরো কাজটি তত্ত্বাবধান করেছেন বুয়েটের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক সোহেল রহমান। ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী জারিন তাসনিম ও রংপুর মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী রিবাতুল ইসলাম তথ্য সংগ্রহে বিশেষ অবদান রেখেছেন। সূত্র: সমকাল
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।