ইসরায়েল কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে দেশে ফিরলেন শহিদুল আলম
মিঠু মুরাদ | প্রকাশিত: ১১ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:২৭

ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে দেশে ফিরেছেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলম। শনিবার (১১ অক্টোবর) ভোর ৫টার দিকে তুর্কি এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তিনি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান।
বিমানবন্দরে শহিদুল আলমকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান তার পরিবারের সদস্য ও সহকর্মীরা। এ সময় গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন,
> “প্রথমেই বলতে চাই, এখনো গাজা মুক্ত হয়নি। তাই গাজা নিয়ে আমাদের সংগ্রাম শেষ নয়। যতক্ষণ পর্যন্ত ফিলিস্তিন মুক্ত না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।”
তিনি দেশবাসী, অন্তর্বর্তী সরকার, তুরস্ক সরকার এবং তুর্কি এয়ারসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে কৃতজ্ঞতা জানান।
ইসরায়েলি বাহিনীর অমানবিক আচরণের সমালোচনা করে শহিদুল আলম আরও বলেন,
> “আমাকে আটক করার সময় তারা যখন আমার বাংলাদেশি পাসপোর্ট দেখল, তখনই ক্ষিপ্ত হয়ে তা মাটিতে ছুড়ে ফেলে দেয়। এমন অপমান সহ্য করা কষ্টকর। একটি দেশের পাসপোর্টকে অবমাননা করা অপরাধ, আর তারা এমনভাবে পার পেয়ে যাবে—তা মেনে নেওয়া যায় না।”
আলোকচিত্রী শহিদুল আলম স্বাধীন মিডিয়া প্রতিষ্ঠান দৃক–এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং নাগরিক অধিকারের আন্দোলনে দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয়।
গত বুধবার (৮ অক্টোবর) গাজা অভিমুখী একটি নৌবহরে যোগ দিয়ে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে আটক হন তিনি। ‘ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন’ নামের বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্মের উদ্যোগে এই নৌযাত্রা গাজায় ইসরায়েলি অবরোধ ভাঙার প্রত্যয় নিয়ে শুরু হয়েছিল। এ অভিযানে ‘থাউজেন্ড ম্যাডলিনস টু গাজা’–এর আটটি নৌযানসহ মোট নয়টি জাহাজ অংশ নেয়, যেখানে বিভিন্ন দেশের রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, চিকিৎসক ও অধিকারকর্মীরা ছিলেন।
ইসরায়েলি সেনারা নৌবহরটি অবরুদ্ধ করে সব যাত্রীকে আটক করে নিয়ে যায়। পরে শহিদুল আলমসহ বেশ কয়েকজনকে কেৎজিয়েত কারাগারে নেওয়া হয়।
তার মুক্তির জন্য বাংলাদেশ সরকার জর্ডান, মিসর ও তুরস্কের মাধ্যমে তৎপরতা চালিয়ে আসছিল। অবশেষে তুরস্ক সরকারের সহায়তায় শুক্রবার রাতে মুক্তি পান শহিদুল আলম।
এদিকে, শহিদুল আলমের মুক্তিতে সহায়তার জন্য তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।