এনসিপির চমক: কারা লড়ছেন কোন আসনে?

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৪৮

সংগৃহীত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ডামাডোলে নতুন শক্তি হিসেবে ভোটের মাঠে নেমেছে জুলাই অভ্যুত্থান-পরবর্তী নবগঠিত দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন ঘোষণার পর, এনসিপি ইতোমধ্যে ৪৭টি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে এবং খুব দ্রুতই তারা আরও বড় তালিকা নিয়ে আসতে চলেছে। দলীয় সূত্র নিশ্চিত করেছে, এনসিপি-এর সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা নিজেরাই নির্বাচনী লড়াইয়ে নামছেন গুরুত্বপূর্ণ সব আসন থেকে।

১. আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ঢাকার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আসন ঢাকা-১১ (বাড্ডা, ভাটারা ও রামপুরা) থেকে। ২. সদস্য সচিব আখতার হোসেন লড়বেন উত্তরের আসন রংপুর-৪ থেকে। ৩. দলের মুখ্য সমন্বয়ক এবং নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী-এর আসন হলো ঢাকা-১৮ (উত্তরা)। ৪. জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা লড়বেন ঢাকা-৯ আসন থেকে। ডা. জারা একইসাথে দলের কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সেক্রেটারিও। ৫. জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব-এর আসন নির্ধারণ করা হয়েছে ঢাকা-১৪। ৬. উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম লড়বেন পঞ্চগড়-১ আসন থেকে। ৭. দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ-কে দেখা যাবে কুমিল্লা-৪ আসনে।

শুধু শীর্ষ পদাধিকারীরাই নন, এনসিপি'র বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতাও গুরুত্বপূর্ণ সংসদীয় এলাকা থেকে লড়াই করবেন: সামান্তা শারমিন – ভোলা-১, সারোয়ার তুষার – নরসিংদী-২, আবদুল হান্নান মাসউদ – নোয়াখালী-৬, আকরাম হুসেইন – ঢাকা-১৩, আবদুল্লাহ আল আমিন – নারায়ণগঞ্জ-৪। এছাড়া, সরকারে থাকা এনসিপি-ঘনিষ্ঠ দুই উপদেষ্টা যদি পদত্যাগ করে নির্বাচনে অংশ নেন, তবে তারা লড়বেন: মাহফুজ আলম – লক্ষ্মীপুর-১, আসিফ মাহমুদ – ঢাকা-১২।

এনসিপি-এর মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী জানিয়েছেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই তাদের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে। জোট নিয়েও তারা কৌশলগত অবস্থানে আছেন।

তিনি স্পষ্ট করেছেন যে, বিএনপি ও জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনি জোট গঠনের বিষয়ে আলোচনা চলমান আছে, তবে জোট হতেও পারে, না-ও হতে পারে। জোট না হলে তারা মোট ১০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হলো, আওয়ামী অপশাসনের শিকার এবং দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামে যারা ভূমিকা রেখেছেন, তাদের আসনে এনসিপি প্রার্থী দেবে না, যা তাদের একটি কৌশলগত সিদ্ধান্ত।

সব মিলিয়ে, নবীন রাজনৈতিক দল হিসেবে এনসিপি বেশ জোরেশোরেই ভোটের মাঠে নামছে। নিজেদের শীর্ষ নেতাদের গুরুত্বপূর্ণ আসনগুলোতে প্রার্থী করা থেকে বোঝা যায়, তারা এই নির্বাচনকে অস্তিত্বের লড়াই হিসেবে দেখছেন।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top