তারােক রহমানের ৭ নভেম্বরের শুভেচ্ছা বার্তা: জাতীয়তাবাদী শক্তির ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান

নিউজফ্ল্যাশ ডেস্ক | প্রকাশিত: ৬ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৫৬

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান "মহান জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস" উপলক্ষে দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি দেশের মানুষের সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের সিপাহী-জনতার বিপ্লব শুধু একটি মোড় পরিবর্তনকারী ঘটনা নয়, এটি বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী রাজনীতির নতুন সূচনার প্রতীক।

বৃহস্পতিবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বাণীতে তারেক রহমান বলেন, স্বাধীনতার পর ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী দেশকে আধিপত্যবাদের থাবার মধ্যে ঠেলে দিয়ে একদলীয় বাকশাল গঠন করে গণতন্ত্রকে হত্যা করে। ৭৫-এর ৩ নভেম্বর স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানকে বন্দী করার চক্রান্ত করা হয়। তবে ৭ নভেম্বর দেশপ্রেমিক সৈনিক ও জনতার এক ঐতিহাসিক সংহতির মাধ্যমে জিয়া মুক্ত হন।

ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরও উল্লেখ করেন, জিয়ার নেতৃত্বে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয় এবং বাক-ব্যক্তি ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা সুপ্রতিষ্ঠিত হয়। তবে ১৯৮১ সালে জিয়াকে হত্যা করে আধিপত্যবাদী এজেন্টরা তাদের উদ্দেশ্য পূরণ করে।

তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী ফ্যাসিস্টরা প্রায় ১৬ বছর দেশকে শাসন করে গণতন্ত্রকে ক্ষুণ্ন করে এবং লড়াকু নেতা-কর্মীদের উপর বীভৎস নির্যাতন চালায়। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দী রেখে বহু বছর মুক্তি দেওয়া হয়নি।

তারেক রহমান বলেন, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আত্মদানের মাধ্যমে ফ্যাসিস্টরা দেশ ছেড়ে পালতে বাধ্য হয়, যা গণতন্ত্রের মুক্তির পথ প্রসারিত করে। তিনি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করা এবং ন্যায়বিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব তুলে ধরেন।

বাণীর শেষাংশে তিনি সকল জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে শক্তিশালী গণতন্ত্র নির্মাণে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান এবং জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার গুরুত্বের ওপর জোর দেন।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top