লস অ্যাঞ্জেলেসের বিক্ষোভ ছড়াল যুক্তরাষ্ট্রের ১৫ শহরে
Nasir Uddin | প্রকাশিত: ১২ জুন ২০২৫, ১২:০০

অভিবাসীবিরোধী অভিযানের প্রতিবাদে শুরু হওয়া বিক্ষোভ এখন শুধু আর লস অ্যাঞ্জেলেসেই সীমাবদ্ধ নেই। তা ছড়িয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ১১ রাজ্যের অন্তত ১৫টি শহরে। নিউইয়র্ক, শিকাগো, আটলান্টা থেকে শুরু করে ফিলাডেলফিয়া পর্যন্ত উত্তাল জনস্রোত নেমেছে রাস্তায়।
অভিবাসী ধরপাকড় অভিযানের বিরুদ্ধে শুরু হওয়া শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ এখন রূপ নিয়েছে এক বিস্তৃত বিক্ষোভে। রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছে হোয়াইট হাউজও। শহরে শহরে চলছে গণগ্রেফতার।
কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি সামলাতে না পেরে লস আঞ্জেলেস শহরের ডাউনটাউন এলাকায় মঙ্গলবার কারফিউ জারি করেন স্থানীয় মেয়র।
লস অ্যাঞ্জেলেসের ডাউনটাউন এলাকায় ইউএস ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্টের (আইসিই) এক বন্দিশালায় আটকে রাখা কয়েকজন অভিবাসীর মুক্তির দাবি থেকেই এই উত্তাল বিক্ষোভের সূত্রপাত।
লস অ্যাঞ্জেলেসের ওই অভিবাসনবিরোধী বিক্ষোভ এখন নিউইয়র্ক, শিকাগো, সানফ্রান্সিসকো, ডেনভার, সান্তা আনা, লাসভেগাস, আটলান্টা, ফিলাডেলফিয়া, মিলওয়াকি, সিয়াটল, বোস্টন, ওয়াশিংটন ডিসি, ডালাস, অস্টিন এবং সান আন্তোনিওতে ছড়িয়ে পড়েছে বলে বুধবার সিএনএনের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়।
এদিকে টেক্সাসের অস্টিনে শতাধিক মানুষের একটি বড় দল মিছিল করে জে জে পিকল ফেডারেল ভবনের দিকে যায়। ভবনটি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের আইসিই কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
এরই মধ্যে টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছেন।
আর বিক্ষোভের সূতিকাগার লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র ক্যারেন ব্যাস শহরের একটি নির্দিষ্ট অংশে স্থানীয় সময় রাত ৮টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করেন। লস অ্যাঞ্জেলেসের ডাউনটাউনে কারফিউ কার্যকর হওয়ার পর গণহারে বিক্ষোভকারীদের গ্রেপ্তার করতে শুরু করেছে লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশ ডিপার্টমেন্ট (এলএপিডি)। তবে কারফিউ জারির পরও লস অ্যাঞ্জেলেস শহরের কেন্দ্রস্থলে বিক্ষোভ চলছে।
বিক্ষোভ শুরুর পর থেকে গত কয়েক দিনে প্রায় ৪০০ জনকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে শনিবার ২৭ জন, রবিবার ৪০ জন এবং সোমবার ১১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া মঙ্গলবার প্রায় ২০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানায় এলএপিডি।
লস অ্যাঞ্জেলেস শহরকে অবৈধ অভিবাসীদের কবল থেকে ‘স্বাধীন’ করার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি এই শহরের অভিবাসীদের ‘বিদেশি শত্রু“’ হিসাবে চিহ্নিত করেন।
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।