ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা ইরানের, মুখ খুললেন ট্রাম্প
রাজীব রায়হান | প্রকাশিত: ১৪ জুন ২০২৫, ১৭:০৮

মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। শুক্রবার ভোরে ইসরায়েল ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনাগুলো লক্ষ্য করে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, এই হামলা দু’দেশের মধ্যে চলমান উত্তেজনায় একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইরান। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, তারা ইরানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করেছে, সেগুলো লক্ষ্যভ্রষ্ট করতে কাজ করছে।
ইসরায়েলের জনগণকে সুরক্ষিত জায়গায় যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়ার কথাও জানিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। এর মধ্যে ইসরায়েলের তেল আবিব শহরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা রয়টার্সকে জানিয়েছেন। তেল আবিব ও জেরুজালেমে সাইরেনের শব্দ শোনা গেছে।
এদিকে ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, ইরানের পক্ষ থেকে ইসরায়েলকে জবাব দেওয়া শুরু হয়েছে। ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে কয়েক শ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে।
ইসরায়েলের অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস জানিয়েছে, তেল আবিবের মেট্রোপলিটন এলাকার সাতটি জায়গায় হামলা হয়েছে। এরইমধ্যে মেট্রোপলিটন এলাকা থেকে আহত অন্তত পাঁচজনকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে একজন বেশ খানিকটা আহত হয়েছেন। অপর চারজন হালকা আহত হয়েছেন।
গতকাল শুক্রবার ভোররাতে ইরানে বড় আকারে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এর জবাবে শনিবার ভোররাতে (গতকাল দিবাগত রাত) পাল্টা হামলা চালায় ইরান। দুই দেশই রাতে একে অপরকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা চালিয়েছে।
প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েলে পাল্টা হামলা শুরু করেছে ইরান। দেশটি ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে শনিবার (১৪ জুন) অন্তত ২০০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। এতে ইসরায়েলে অন্তত চারজন নিহত এবং ৭০ জন আহত হয়েছে। খবর বিবিসির।
ইরান ঘোষণা দিয়েছে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তাদের এ পাল্টা হামলা অব্যাহত থাকবে। ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ফার্স জানিয়েছে, শুক্রবার রাতে ইসরায়েল যে হামলা চালিয়েছে তার পাল্টা জবাব শেষ হয়নি। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরানি হামলা চলবে।
ইসরায়েলের করা হামলা নিয়ে মুখ খুলেছেন তেল আবিবের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, হামলার বিষয়টি আগেই জানতেন তিনি।
ট্রাম্প বলেন, আমরা সব জানতাম। আমি ইরানকে অপমান ও ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে চেয়েছিলাম। আমি খুব চেষ্টা করেছি। কারণ, আমি চাইতাম, একটা চুক্তি হোক। মার্কিন প্রেসিডেন্টের মতে, এখনো চুক্তি করার সুযোগ আছে। তিনি বলেন, এখনো দেরি হয়নি।
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।