আঙ্কারার কাছে বিমান দুর্ঘটনায় লিবিয়ার সেনাপ্রধানসহ নিহত ৮

তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারার কাছে একটি বিমান দুর্ঘটনায় লিবিয়ার সেনা প্রধান মোহাম্মেদ আলি আহমেদ আল-হাদ্দাদসহ আটজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে চারজন লিবিয়ান উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা এবং তিনজন ক্রু সদস্য রয়েছেন। দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবদুল হামিদ ডেবেইবা।

মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী ডেবেইবা ঘটনাটিকে ‘মর্মান্তিক দুর্ঘটনা’ হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এই দুর্ঘটনা জাতি, সামরিক প্রতিষ্ঠান এবং সাধারণ জনগণের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। নিহতরা নিষ্ঠা, দায়িত্ববোধ ও দেশপ্রেমের সঙ্গে দেশকে সেবা করেছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

দুর্ঘটনায় নিহত অন্য লিবিয়ান কর্মকর্তারা হলেন—গ্রাউন্ড ফোর্সেস চিফ অব স্টাফ আল-ফিতৌরি ঘারিবিল, মিলিটারি ম্যানুফ্যাকচারিং অথরিটির পরিচালক মাহমুদ আল-কাতাউই, আল-হাদ্দাদের উপদেষ্টা মুহাম্মদ আল-আসাউই দিয়াব এবং মিলিটারি ফটোগ্রাফার মুহাম্মদ ওমর আহমেদ মাহজুব।

আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে তুরস্কের একজন কর্মকর্তার বরাতে জানানো হয়েছে, আঙ্কারা থেকে লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির উদ্দেশে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই প্রাইভেট জেটটিতে বৈদ্যুতিক ত্রুটি দেখা দেয়। এরপর জরুরি অবতরণের অনুমতি চাওয়া হলেও বিমানটি নিরাপদে অবতরণ করতে পারেনি।

তুরস্কের প্রেসিডেন্সির কমিউনিকেশন ডিরেক্টরেটের প্রধান বুরহানেত্তিন দুরান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানান, বৈদ্যুতিক ত্রুটির বিষয়টি বিমান নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রকে জানিয়ে জরুরি অবতরণের চেষ্টা করা হয়েছিল।

এদিকে তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলি ইয়েরলিকায়া জানিয়েছেন, আঙ্কারা বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের পর প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে হায়মানা জেলার কেসিককাভাক গ্রামের কাছে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।

তুর্কি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার কারণ তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে প্রযুক্তিগত ত্রুটির ইঙ্গিত পাওয়া গেলেও সন্ত্রাসী হামলা বা নাশকতার কোনো আলামত এখন পর্যন্ত মেলেনি।

উল্লেখ্য, তুর্কি সামরিক কমান্ডারদের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নিতে আঙ্কারায় সফরে এসেছিলেন মোহাম্মেদ আল-হাদ্দাদ ও তার সফরসঙ্গীরা। লিবিয়া সরকারের ভাড়া করা একটি প্রাইভেট জেটে করে তারা তুরস্কে এসেছিলেন।