মা-ছেলের ভালোবাসায় বিমানবন্দরে এক আবেগঘন মুহূর্তের সৃষ্টি, জোবাইদার আলিঙ্গন
রাজীব রায়হান | প্রকাশিত: ৬ মে ২০২৫, ১৩:৫৪

প্রায় চার মাস নিজের কাছে রেখে গুরুতর অসুস্থ মায়ের চিকিৎসা চালিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তবে ধীরে ধীরে যখন শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলো। দেশে ফেরার মনস্থির করেন মা সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
নির্ধারিত সময় মাকে বিদায় দেওয়ার জন্য নিজেই গাড়ি চালিয়ে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে নিয়ে আসেন তারেক রহমান। বাংলাদেশ সময় তখন রাত ৭টা ৪০ মিনিট। বিমানবন্দরে পৌঁছান খালেদা জিয়া।
মাকে দেশের পথে পাঠিয়ে দেওয়ার সময় ছেলের সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলেন বিএনপি প্রধান বেগম খালেদা জিয়া। পাশে থাকা লোকজন সবাইকে তখন হাসিখুশি দেখা যায়। মা তার সন্তানকে বিদায় বেলায় গালে আদর করে দেন। তারেক রহমানও মাকে বিদায় জানানোর মুহূর্তে জড়িয়ে ধরেন। তারেক রহমানের গলা জড়িয়ে ধরে চুম্বন করেন মা বেগম খালেদা জিয়া।
বিমানবন্দরের আকাশে যেন তখন আবেগের ছায়া। সময় থমকে দাঁড়ায় মুহূর্তে। মায়ের হৃদয় ছেলের হাত থেকে সরে যেতে চায় না। খালেদা জিয়ার কাঁদো কাঁদো চোখে বিদায়ের আর্তনাদ। বিদায় বেলায় তখন সৃষ্টি হয় এক আবেগঘন পরিবেশ।
বিমানবন্দরে অপেক্ষার ফাঁকে ছেলে তারেক রহমানকে মা জিজ্ঞাসা করেন, কতক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকবে তুমি? জবাবে তারেক রহমান বলেন, তুমি উঠে গেলে, জাইমা চলে এলে, আমি চলে যাব। পরে বিদায় জানাতে আসা নেতাকর্মীদের উদ্দেশে খালেদা জিয়া বলেন, ভালো থেকো তোমরা। ভাইয়ার খেয়াল রেখো। আল্লাহ হাফেজ।
তখন পাশে দাঁড়িয়ে হাসোজ্জ্বোল পুত্রবধূ জুবাইদা রহমান। শেষ মুহূর্তে আরও একবার প্রিয় স্বামীকে বিদায় জানানোর অপেক্ষা। বার বার উকি দিয়ে তাকাচ্ছিলেন তারেক রহমানের দিকে। যদি একবার চেয়ে দেখেন তিনি। বিষয়টি খেয়াল করলেন তারেক রহমানের কন্যা জায়মা রহমান। বুঝতে পারলেন মায়ের অপেক্ষা আর ভালোবাসার আকুতি।
বাবার কাছে এগিয়ে গিয়ে বললেন— মা কিন্তু এখনো তোমার কাছ থেকে বিদায় নেননি। আর তখনই ঘটে গেল এক অবিস্মরণীয় মুহূর্ত। ঠিক তখনই তারেক রহমান যেন থেমে গেলেন। হাসিমাখা মুখে এগিয়ে এলেন জোবাইদা রহমান। সবার সামনেই একটা হালকা আলিঙ্গন। এরপরের গল্পটা বাংলাদেশ যাত্রার। জোবাইদার ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবনের অবসান। যেন এক নতুন ইতিহাস।
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।