বৃহঃস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২

জামায়াতের সঙ্গে আসন সমঝোতার পথে এনসিপি

নিউজ ডেস্ক | প্রকাশিত: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৩২

সংগৃহীত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটের দিন যত ঘনিয়ে আসছে, ততই স্পষ্ট হচ্ছে রাজনৈতিক জোট ও আসন সমঝোতার চিত্র। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) নিজেদের দল ও যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের জন্য আসন বণ্টন প্রায় চূড়ান্ত করলেও তরুণদের নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) শেষ পর্যন্ত বিএনপির সঙ্গে জোট বা আসন সমঝোতায় যাচ্ছে না। বরং জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আসন সমঝোতার পথে অনেকটাই এগিয়েছে দলটি।

এনসিপি সূত্র জানায়, বুধবার জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে দুদফা বৈঠক হয়। বৈঠকে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্য সচিব আখতার হোসেনের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। আলোচনায় আনুষ্ঠানিক জোটের বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে মূলত আসন সমঝোতায় নীতিগত ঐকমত্যে পৌঁছান দুই পক্ষ। সংস্কার, বিচার ও মৌলিক রাজনৈতিক ইস্যুতে তারা কাছাকাছি অবস্থানে রয়েছেন বলে জানা গেছে।

বৈঠক সূত্র অনুযায়ী, আসন সমঝোতা হলে এনসিপি অন্তত ৫০টি আসন চাইলেও জামায়াতে ইসলামী ৩০টি আসনের প্রস্তাব দিয়েছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হলেও ৩০ থেকে ৫০টি আসন ছাড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। এসব আসনে এনসিপির বর্তমান জোটসঙ্গী আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রার্থীরাও থাকতে পারেন।

এনসিপির এক দায়িত্বশীল নেতা বলেন, বিএনপির সঙ্গে আসন সমঝোতায় দলটির অনেক নেতা আগ্রহী ছিলেন। তবে বিএনপি ইতোমধ্যে এনসিপির শীর্ষ নেতাদের আসনগুলোতে প্রার্থী ঘোষণা করায় সে সুযোগ আর নেই। বর্তমানে জামায়াতের সঙ্গেই নির্বাচনী ঐক্য সবচেয়ে এগিয়ে আছে।

এদিকে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, বিএনপি ও জামায়াত—উভয় পক্ষের সঙ্গেই আলোচনা চলছে। এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি, তবে খুব শিগগিরই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে।

গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের নেতারাও জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতার সম্ভাবনা দেখছেন। তাদের মতে, এতে বিদ্রোহী প্রার্থী চ্যালেঞ্জ কমবে এবং আসনের নিশ্চয়তা বেশি মিলবে। জোটে আরও কয়েকটি দল যুক্ত হওয়ার আলোচনা চলতি সপ্তাহেই চূড়ান্ত হতে পারে।

এনসিপি ইতোমধ্যে প্রথম ধাপে ১২৫ আসনে এবং দ্বিতীয় ধাপে আরও ৪০–৫০ আসনে প্রার্থী তালিকা প্রায় চূড়ান্ত করেছে। এবি পার্টি ঘোষণা করেছে ১০৯ আসনের প্রার্থী তালিকা। এসব দল মিলিয়ে সমন্বয়ের মাধ্যমে ৩০০ আসনে প্রার্থী ঠিক করার প্রক্রিয়া চলছে।

তবে আসন সমঝোতা হলেও এনসিপি নিজস্ব প্রতীক ‘শাপলা কলি’তেই নির্বাচন করবে। দলের মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, কোনো পরিস্থিতিতেই এনসিপির প্রার্থীরা ধানের শীষ বা অন্য কোনো প্রতীকে নির্বাচন করবেন না।

তিনি বলেন, “আমাদের কারও সঙ্গে আসন সমঝোতা হলেও এনসিপির সব প্রার্থী শাপলা কলি প্রতীকেই নির্বাচন করবেন।”

 

এনএফ৭১/ওতু



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top