সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ৫ কার্তিক ১৪৩২

জবি ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ খুনের ১৫ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও মামলা হয়নি

স্টাফ রিপোর্টার | | প্রকাশিত: ২০ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৩৬

ছবি: সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য জোবায়েদ হোসাইনের খুনের ১৫ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত মামলা করতে পারেনি তার পরিবার।
গতকাল রবিবার (১৯ অক্টোবর) রাত ১টা থেকে মামলা করার চেষ্টা করলেও সোমবার সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত বংশাল থানায় মামলা নিতে পারেনি পুলিশ।

মামলার বাদী ও নিহতের বড় ভাই এনায়েত হোসেন সৈকত অভিযোগ করে বলেন,

“আমরা ওই ছাত্রী, তার বাবা-মাসহ ৬ জনের নামে মামলা দিতে চাইলে বংশাল থানার ওসি বলেন এতজনের নামে মামলা না দিতে। কিন্তু আমরা চাই, প্রকৃত হত্যাকারীদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হোক।”

তিনি আরও জানান, ওসি বলেন মেয়ের বাবা-মায়ের নাম দিলে মামলাটি নাকি ‘হালকা হয়ে যাবে’। কিন্তু পরিবার মামলায় তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রাত ১টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত থানায় অবস্থান করেও মামলা দায়ের করতে পারেননি তারা। প্রথমে ওসি না থাকায় বিলম্ব হয়, পরে উপস্থিত হয়ে তিনি মামলার আসামির সংখ্যা কমানোর পরামর্শ দেন।

এ বিষয়ে বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন,

“যাদের নামে মামলা দিতে চায় তারা দিতে পারে, তবে আমি বলেছি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে।”

এর আগে রবিবার রাত ১১টার দিকে খুনীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে বংশাল থানার সামনে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। তারা তাতীবাজার মোড় অবরোধ করে রাখেন। পরে রাত ১১টার পর ছাত্রী বর্ষাকে পুলিশ হেফাজতে নেয়। রাত ১০টা ৫০ মিনিটে জোবায়েদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়।

নিহত জোবায়েদ হোসাইন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি কুমিল্লা জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতির সভাপতি এবং জবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য ছিলেন।

গত এক বছর ধরে তিনি পুরান ঢাকার আরমানীটোলার ১৫, নূরবক্স লেনের ‘রৌশান ভিলা’তে ছাত্রী বর্ষাকে প্রাইভেট পড়াতেন। বর্ষার বাবার নাম গিয়াসউদ্দিন।
গতকাল বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বর্ষার বাসার তৃতীয় তলায় জোবায়েদ খুন হন বলে জানা গেছে।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top