লেবাননে আবারও ইসরায়েলি হামলা, হিজবুল্লাহর দুই নেতাকে লক্ষ্যবস্তু

লেবাননে ফের বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এ হামলায় প্রতিরোধ যোদ্ধা হিজবুল্লাহর দুই নেতাকে লক্ষ্য করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। সোমবার (২২ ডিসেম্বর) টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার দক্ষিণ লেবাননে চালানো ইসরায়েলি বিমান হামলায় হিজবুল্লাহর দুই সদস্যকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দাবি, অভিযানে একজন নিহত হয়েছেন।

লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ও জানায়, দক্ষিণ লেবাননের ইয়াতের শহরে ইসরায়েলি হামলায় একজন নিহত এবং আরেকজন আহত হয়েছেন।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) সোমবার জানায়, নিহত ব্যক্তি ওই এলাকায় হিজবুল্লাহর অবকাঠামো পুনর্গঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। আইডিএফের দাবি, তার কার্যক্রম ইসরায়েল ও লেবাননের মধ্যে হওয়া যুদ্ধবিরতি সমঝোতার লঙ্ঘন। হামলার ভিডিও ফুটেজও প্রকাশ করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।

২০২৪ সালের নভেম্বরে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির পরও ইসরায়েল নিয়মিতভাবে লেবাননে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, এসব অভিযানের লক্ষ্য হিজবুল্লাহর অবকাঠামো ও যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনকারী সদস্যরা। একই সঙ্গে দক্ষিণ লেবাননের পাঁচটি কৌশলগত স্থানে এখনো সেনা মোতায়েন রেখেছে ইসরায়েল।

বৈরুতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, রোববার ইয়াতের শহরে একটি গাড়ি ও একটি মোটরবাইকে ইসরায়েলি হামলা চালানো হয়। এতে একজন নিহত ও একজন আহত হন। শহরটি ইসরায়েল সীমান্ত থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

এদিকে লেবাননের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, সীমান্তবর্তী ইয়ারুন এলাকায় একটি ‘ইসরায়েলি নজরদারি যন্ত্র’ শনাক্ত করে তা নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গত বছরের শেষদিকে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। ইসরায়েলের দাবি, উত্তরাঞ্চলের প্রায় ৬০ হাজার বাস্তুচ্যুত নাগরিককে নিরাপদে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যেই এসব অভিযান চালানো হয়েছে।

ইসরায়েল আরও জানায়, যুদ্ধবিরতির পর থেকে তারা ৩৮০ জনের বেশি হিজবুল্লাহ সদস্য ও মিত্র গোষ্ঠীর যোদ্ধাকে হত্যা করেছে। এ ছাড়া শত শত স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে এবং দক্ষিণ লেবাননে এক হাজার ২০০-এর বেশি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

এনএফ৭১/ওতু