নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা প্রাপ্তি কারও করুণার বিষয় নয়: তারেক রহমান
Nasir Uddin | প্রকাশিত: ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৭:২৯
                                        বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যে ৫৪টি অভিন্ন নদী, এসব নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা প্রাপ্তি কারও করুণার বিষয় নয় এটা এটি বাংলাদেশের মানুষের প্রাপ্য। ভারত যদি আমাদের ন্যায্য অধিকার না দেয় তবে দেশি-বিদেশি সকল বিকল্প ভাবতে হবে’ বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) উত্তরাঞ্চলের তিস্তা নদীর পারের পাঁচটি জেলার ১১ টি পয়েন্টে তিস্তা পানির নায্য হিসসা ও মেগা প্রকল্প অবিলম্বে বাস্তবায়নের দাবিতে টানা ৪৮ ঘন্টার অবস্থান কর্মসূচিতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, উত্তরাঞ্চলের তিস্তাপাড়ের পানিবঞ্চিত মানুষেরা আজ সারা বিশ্বকে জানিয়ে দিতে চায় যে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যে ৫৪টি অভিন্ন নদী, এসব নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা প্রাপ্তি কারও করুণার বিষয় নয়। এটা আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী বাংলাদেশের প্রাপ্য, এটি বাংলাদেশের মানুষের প্রাপ্য। অথচ আমরা দেখছি, আন্তর্জাতিক তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ের জন্য আজকে আমাদেরকে আন্দোলন করতে হচ্ছে।

তারেক রহমান বলেন, ভারতের ৫৪টি নদী বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়, এটা কোনো করুণার বিষয় নয়। তিস্তা নদীর উজানে গজলডোবা বাঁধ দিয়ে পানি আটকে দিয়েছে ভারত। তিস্তার ন্যায্য পানি আদায়ের জন্য আজকে আমাদের আন্দোলন করতে হচ্ছে। এ পানিবণ্টন নিয়ে আমাদের প্রতিবেশী দেশ অপ্রতিবেশীমূলক আচরণ করছে। ৫০ বছর যাবৎ ফারাক্কার অভিশাপ থেকে বাংলাদেশ মুক্তি পাই নাই। এখন আবার এসেছে তিস্তার অভিশাপ।
ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশের এমন আচরণের কারণে আজকে তিস্তা পাড়ের লাখ লাখ মানুষ বন্যায়-খরায় অসহায় জীবন-যাপন করছে। পানির অভাবে কোটি কোটি টাকার শস্য ক্ষতি হচ্ছে।
তারেক রহমান বলেন, ভারতের ৫৪টি নদী বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়, এটা কোনো করুণার বিষয় নয়। তিস্তা নদীর উজানে গজলডোবা বাঁধ দিয়ে পানি আটকে দিয়েছে ভারত। তিস্তার ন্যায্য পানি আদায়ের জন্য আজকে আমাদের আন্দোলন করতে হচ্ছে। এ পানিবণ্টন নিয়ে আমাদের প্রতিবেশী দেশ অপ্রতিবেশীমূলক আচরণ করছে। ৫০ বছর যাবৎ ফারাক্কার অভিশাপ থেকে বাংলাদেশ মুক্তি পাই নাই। এখন আবার এসেছে তিস্তার অভিশাপ।
ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশের এমন আচরণের কারণে আজকে তিস্তা পাড়ের লাখ লাখ মানুষ বন্যায়-খরায় অসহায় জীবন-যাপন করছে। পানির অভাবে কোটি কোটি টাকার শস্য ক্ষতি হচ্ছে।
বিএনপি যখন ক্ষমতায় আসবে তখন এই তিস্তার বিষয়টিকে অগ্রধিকার ভিত্তিতে দেখবে উল্লেখ তারেক রহমান বলেন, পাশাপাশি দেশের অন্যান্য যে সকল নদী আছে সেগুলোকে আমাদের পুনরায় সংস্কার এবং খনন করতে হবে। শহীদ জিয়ার সেই খাল খানন কর্মসূচি আমাদেরকে পুনরায় হাতে নিতে হবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, আগষ্টে খুনি স্বৈরাচারী দেশ থেকে পালিয়ে গেছে। এই স্বৈরাচার একদিন একটি কথা বলেছিল ভারতকে যা দিয়েছি তা তারা (ভারত) সারা জীবন মনে রাখবে। তাই এই পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত শুধু স্বৈরাচারকে মনেরেখেছে বাংলার মানুষকে মনেরাখেনি। প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে কিছু দেয় নাই শুধু দিয়েছে স্বৈরাচারকে। প্রতিটি দেশেরই তাদের প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক বা ঝামেলা থাকে। কিন্তু সেগুলোকে কূটনৈতিকভাবে সমাধান করা হয়। যেটা আমাদের এখানে এতদিন হয় নি।
স্বৈরাচার সরকার গত ১৫টি বছর নির্বাচনকে তামাশায় পরিণত করেছে উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, স্বৈরাচার ৫ই আগস্ট পালিয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশের মানুষের সম্ভাবনা এবং সুযোগ তৈরি হয়েছে। সরকারের কোন হটকারী সিদ্ধান্তে বা আমাদের অসতর্কতায় যেন ক্ষুনি ফ্যাসিস্ট সরকারের কেউ যেন পুনর্বাসন হওয়ার সুযোগ না পায়, সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।
দুইদিন যাবত তিস্তা পরে মানুষ যে আন্দোলন করছে এটা বৃথা যাবে না জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, তিস্তাকে রক্ষা করতে হলে তিস্তা বাসীকে একটি দায়িত্ব পালন করতে হবে। আর সেটি হচ্ছে আগামী জাতীয় নির্বাচনে আপনাদেরকে আপনাদের পছন্দের দলে ভোট দিতে হবে। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দেখেছে মানুষের ঐক্যবদ্ধতা। কিভাবে তারা একটি সংকটে নিজেদেরকে ঐক্যবদ্ধ করেছে। আপনারা যেভাবে বলেছেন জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাও। একইভাবে আমাদের বাংলাদেশের সকলকে বলতে হবে জাগো বাহে বাংলাদেশ বাঁচাও।
বিষয়: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বিএনপি তারেক রহমান ভারত বাংলাদেশ অভিন্ন নদী তিস্তা নদী পানির ন্যায্য হিস্যা

                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।