খুমেক হাসপাতালে ছবি তোলা ও সাক্ষাৎকারে নিষেধাজ্ঞা
এস কে বাপ্পি খুলনা: | প্রকাশিত: ১২ অক্টোবর ২০২৫, ১২:১১

খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে ছবি তোলা ও সাক্ষাৎকার গ্রহণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের ভেতরে ছবি তুলতে বা সাক্ষাৎকার নিতে হলে অবশ্যই পরিচালকের অনুমতি নিতে হবে— এমন নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (তারিখ) খুমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. কাজী মো. আইনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এই নির্দেশনা জারি হয়।
অফিস আদেশে বলা হয়েছে, পরিচালকের অনুমতি ছাড়া কিছু মিডিয়াকর্মী হাসপাতালের ভেতরে রোগীদের ছবি তুলছেন, যা কাম্য নয়। এতে রোগী ও চিকিৎসক উভয়ই হয়রানির শিকার হচ্ছেন এবং স্বাভাবিক চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে।
নির্দেশনায় আরও উল্লেখ করা হয়, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৫০০ শয্যার বিপরীতে প্রতিদিন প্রায় ২ হাজার রোগী চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করেন। সাংবাদিকদের অবাধ আনাগোনায় চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে এবং সময়ক্ষেপণ ঘটছে। এ অবস্থায় ভবিষ্যতে কোনো সাংবাদিক বা মিডিয়া প্রতিনিধি পরিচালকের লিখিত অনুমতি ছাড়া ইনডোর বা আউটডোরে ছবি তোলা বা সাক্ষাৎকার গ্রহণ করতে পারবেন না।
এদিকে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এই আদেশকে গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ এবং সুষ্ঠু সাংবাদিকতার প্রতি হুমকি হিসেবে উল্লেখ করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে খুলনার সাংবাদিক সংগঠনগুলো।
এক যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেন, “এই নির্দেশনা শুধু সাংবাদিকদের দায়িত্ব পালনে বাধা সৃষ্টি করবে না, বরং জনস্বার্থ-সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের প্রবাহও বাধাগ্রস্ত করবে, যা গণতান্ত্রিক সমাজে অগ্রহণযোগ্য।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, জনগণের সেবার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম গণমাধ্যমের নজরদারির বাইরে রাখার এই উদ্যোগ গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পরিপন্থী। গণমাধ্যম কেবল তথ্য প্রচারের মাধ্যম নয়, এটি জনগণের অধিকার রক্ষার শক্তিশালী হাতিয়ার। চিকিৎসাসেবা ও প্রশাসনিক দায়বদ্ধতার প্রশ্নে সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ সীমিত করা জনগণের তথ্য জানার সাংবিধানিক অধিকারকে ক্ষুণ্ন করবে।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছে, পেশাজীবী সাংবাদিক সুরক্ষা মঞ্চ খুলনা, খুলনা টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন এবং খুলনা ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (কেসিআরএ)-এর নেতৃবৃন্দ।
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।