নোয়াখালীতে বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষে আহত অন্তত ৪০
নোয়াখালী প্রতিনিধি | প্রকাশিত: ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ২০:০২

নোয়াখালীর সদর উপজেলায় বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৪০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটে রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকেল ৫টার দিকে সদর উপজেলার নেওয়াজপুর ইউনিয়নের কাশেম বাজার এলাকায়।
নোয়াখালী জেলা ছাত্রশিবিরের প্রচার সম্পাদক ফজলে রাব্বী অভিযোগ করেন, শনিবার নেওয়াজপুর ইউনিয়নের কাশেম বাজার জামে মসজিদে শিবিরের উদ্যোগে আয়োজিত দারসুল কুরআন প্রোগ্রামে যুবদল হামলা চালায়। ওই ঘটনার প্রতিবাদে রোববার আসরের নামাজের পর একই স্থানে কুরআন তালিম কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়। কিন্তু নামাজের পর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা মসজিদে প্রবেশ করে হামলা চালায় এবং শিবির কর্মীদের অবরুদ্ধ করে রাখে। এতে অন্তত ২৫ জন শিবিরকর্মী আহত হন বলে তিনি দাবি করেন।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন নোয়াখালী শহর শিবিরের অফিস সম্পাদক তানভীর সিয়াম, আইন সম্পাদক নাঈম হোসেন, ছালাউদ্দিন, কেরামতিয়া মাদরাসার শিবির সভাপতি আরাফাত আলীসহ ১৬ জন গুরুতর আহত। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
অন্যদিকে, বিএনপির একাধিক নেতাকর্মী জানান, আসরের নামাজের পর শিবিরের নেতাকর্মীরা মসজিদের ভেতরে দলীয় স্লোগান দিতে থাকলে বিএনপির পক্ষ থেকে আপত্তি জানানো হয়। এতে শিবিরকর্মীরা উল্টো হামলা চালায়। সংঘর্ষে ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হন। আহতদের মধ্যে ইউনিয়ন বিএনপির প্রচার সম্পাদক মো. আক্তার, দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর, সাবেক ছাত্রদল সভাপতি জিয়াউর রহমানসহ আটজনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় জেলা জামায়াতের আমির ইসহাক খন্দকার বলেন, “আমরা এই হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। জেলা বিএনপির নেতাদের সঙ্গে কথা হয়েছে, সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানাচ্ছি।”
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুব আলমগীর আলো বলেন, “এই ঘটনায় আমরা প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তৃতীয় কোনো পক্ষ ইচ্ছে করে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে কিনা, সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অতীতে বিএনপি ও জামায়াত একসঙ্গে আন্দোলন করেছে, আমরা কোনো সংঘাত চাই না।”
সুধারাম মডেল থানার ওসি মো. কামরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে এবং বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।