বৃহঃস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

নাটোরে বেলজিয়াম হাঁস পালনে সফল দুই যুবকের গল্প

নিউজ ডেস্ক | প্রকাশিত: ২০ নভেম্বর ২০২৫, ১৫:১৩

সংগৃহীত

নাটোরের সিংড়া উপজেলার নুরপুর গ্রামে বেলজিয়াম জাতের হাঁস পালন নতুন সম্ভাবনার দিগন্ত খুলে দিয়েছে। এই জাতের হাঁসের প্রতিটি ওজন গড়ে ৪–৫ কেজি, এবং স্বাদ ও পুষ্টিগুণে অনন্য হওয়ায় বাজারে এর ডিম ও মাংসের চাহিদা এখন ব্যাপক।

সিংড়ার দুই যুবক, জাহিদ মাহমুদ ও প্রবাসী দুলাভাই হাসান আলী, চলনবিল হ্যাচারি সিংড়া নামের খামার গড়ে সফলতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। জাহিদ মাহমুদ জানান, “প্রায় ৮ লাখ টাকার ঋণগ্রস্ত অবস্থায় প্রবাসী দুলাভাই ১০০টি বেলজিয়াম হাঁস কিনে দেন। সেখান থেকেই শুরু। এখন আমরা মাসে দুই লাখ টাকার বেশি আয় করি। ডিম, বাচ্চা ও হাঁস বিক্রি করেই এ আয় হয়।”

বর্তমানে তাদের খামারে হাঁসের সংখ্যা প্রায় ২,৫০০টি এবং তারা বাচ্চা উৎপাদনও শুরু করেছেন। প্রতি ৪৫ দিনে একটি হাঁস ৩ কেজি পর্যন্ত ওজন বৃদ্ধি করে, ফলে স্বল্প সময়ে বিক্রয়যোগ্য হয়। হাঁসের ডিম বিক্রি হয় ৪০–৮০ টাকা এবং বাচ্চার দাম ১৫০ টাকা। খামারে বর্তমানে ৪ জন স্থানীয় যুবকও কাজ করছেন।

খামারি হাসান বলেন, “স্বল্প পুঁজি বিনিয়োগ করেই বেলজিয়াম হাঁস পালন শুরু করা যায়। নিয়মিত যত্ন, সঠিক খাবার ও ভ্যাকসিন প্রয়োগে দ্রুত লাভ পাওয়া সম্ভব।” জাহিদ আরও জানান, “একসময় মানুষ বলত হাঁস পালনে ভবিষ্যৎ নেই। এখন তারা নিজেরাই জানতে আসে হাঁস পালনের লাভজনকতা।”

সিংড়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ নতুন উদ্যোক্তাদের পরামর্শ, প্রশিক্ষণ এবং বিনামূল্যে ভ্যাকসিন সরবরাহ করছে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. তাশরিফুল ইসলাম বলেন, “আমরা নতুন উদ্যোক্তাদের সার্বিক সহযোগিতা দিচ্ছি এবং আশা করি ভবিষ্যতে বেলজিয়াম হাঁসের খামার সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে।”

জাহিদ ও হাসান শুধু সফল খামারি নন, তারা এলাকার যুবকদের জন্য অনুপ্রেরণার প্রতীক। তাদের উদাহরণ দেখে এখন অনেক যুবক হাঁস পালন শুরু করছেন।

 

এনএফ৭১/ওতু



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top