• ** জাতীয় ** আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি : শেখ হাসিনা ** আবারও তিন দিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি ** চুয়াডাঙ্গায় হিট স্ট্রোকে দুই নারীর মৃত্যু ** ইউআইইউ ক্যাম্পাসে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’ নিয়ে তোলপাড় সারাদেশ ** সিলেটে মসজিদে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে ইমামের মৃত্যু ** নরসিংদীতে হিট স্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু ** সব ধরনের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন : https://www.newsflash71.com ** সব ধরনের ভিডিও দেখতে ভিজিট করুন : youtube.com/newsflash71 ** লাইক দিন নিউজফ্ল্যাশের ফেসবুক পেইজে : fb/newsflash71bd **


ডাক্তারের অনুপস্থিতে প্রসব করাতে গিয়ে নবজাতকের মাথা বিচ্ছিন্ন, পলাতক নার্স

ভোলা থেকে | প্রকাশিত: ২৯ মার্চ ২০২১, ১৮:০৬

ডাক্তারের অনুপস্থিতে প্রসব করাতে গিয়ে নবজাতকের মাথা বিচ্ছিন্ন পলাতক নার্স

ভোলা সদর হাসপাতালে ডাক্তারের অনুপস্থিতিতে প্রসূতির সন্তান প্রসব করাতে গিয়ে নবজাতকের মাথা ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে নার্সদের বিরুদ্ধে। নবজাতকের মাথা ছিঁড়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি খারাপ দেখে ডেলিভারি শেষ না করেই প্রসূতিকে অপারেশন থিয়েটারে রেখে নার্সরা পালিয়েছেন।

এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় রোগীকে মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন রোগীর স্বজনরা। রাতে ভোলা সদর হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের চরকলি গ্রামের বাসিন্দা ও প্রসূতির স্বামী মো. জুয়েল জানান, তার ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে একটি ক্লিনিকে ডাক্তার দেখান।

পরে গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. সাইফুর রহমান জানান প্রসূতির গর্ভের সন্তান মারা গেছে। এই চিকিৎসকের পরামর্শে সন্ধ্যা ৭টার দিকে প্রসূতিকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

রাত ১১টার দিকে হাসপাতালের নার্স দেবী ও আয়া কহিনুর মিলে প্রসূতির পেট থেকে সন্তান বের করতে গিয়ে মাথা ছিঁড়ে ফেলে এবং সন্তানের দেহের অংশ প্রসূতির পেটে রয়ে যায়।

এ সময় রোগী যন্ত্রণায় চিৎকার করলে তারা রোগীকে মারধর করেন। এক পর্যায়ে রোগীর অবস্থা খারাপ দেখে তারা রোগীকে ওই অবস্থায় রেখে সটকে পরেন। পরে অন্য নার্সরা এসে রোগীকে বেডে পাঠায়। সর্বশেষ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. সাইফুর রহমান অপারেশন করে নবজাতকের বাকি অংশ বের করেন। বর্তমানে ওই প্রসূতি সংকটাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স জেবুননেছা জানান, নরমাল ডেলিভারির চেষ্টাকালে নবজাতকের মাথা ছিঁড়ে যায়। এতে নার্স বা কর্মচারীর কোনও দোষ ছিল না। রোগীকে মারধরের কথাও তিনি অস্বীকার করেন।

ভোলা সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মোহাম্মদ মহিবুল্লাহ জানান, রাতে পেটের ভেতরে মৃত সন্তান নিয়ে হাসপাতালে একজন রোগী ভর্তি হয়। এ সময় তার প্রসব ব্যথা ছিল। হাসপাতালের নার্সরা তার নরমাল ডেলিভারির চেষ্টা করেন। ডেলিভারি শেষ করার আগে রোগীর জটিলতা দেখা দেয়। পরে সকালে কনসালটেন্ট এসে রোগীর চিকিৎসা করেন।

অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, এই ঘটনায় হাসপাতালের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। তদন্ত করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এনএফ৭১/জেএস/২০২১




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top