গিনেস বুকে পলক মুচ্ছলের নাম

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৫৫

সংগৃহীত

পলক মচ্ছল শুধু একজন সঙ্গীতশিল্পী নন, তিনি মানবতার এক উজ্জ্বল উদাহরণ। তাঁর কণ্ঠে যে মাধুর্য এবং সুর আছে, তা শুধু সংগীতপ্রেমীদের মনকেই নাড়া দেয়, বরং তাঁর হৃদয়ে সুরের পাশাপাশি রয়েছে এক গভীর ভালোবাসা—মানবতার প্রতি। প্রায় তিন হাজার আটশো শিশুর হৃদ্রোগ সারাতে যে টাকা তিনি সংগ্রহ করেছেন, তা কেবল তাঁর নিজের বিলাসিতার জন্য নয়, বরং এই শিল্পী তাঁর গানের শো থেকে উপার্জিত অর্থের মাধ্যমে সেইসব শিশুদের চিকিৎসায় সাহায্য করছেন, যারা হয়তো কখনো তাকে দেখেনি, কিন্তু পলকের ভালোবাসায় তাদের জীবন ফিরে পেয়েছে।

পলক মচ্ছল গানের শো থেকে যে অর্থ উপার্জন করেন, তা শিশুদের হার্ট সার্জারির খরচে ব্যয় হয়। হৃদরোগে আক্রান্ত শিশুদের বাবা-মায়ের পক্ষে অনেক সময় চিকিৎসার খরচ বহন করা সম্ভব হয় না। এমন পরিস্থিতিতে, পলক দাঁড়িয়ে যান তাদের পাশে। তাঁর গান, তাঁর হৃদয়, সবই যেন মানবতার সেবায় নিবেদিত। তিনি বিশ্বাস করেন, "গান শুধুমাত্র আনন্দ দেয় না, এটি একটি শক্তি, যা মানুষের জীবন পরিবর্তন করতে পারে।"

এটা কোনো সাধারণ গল্প নয়। পলক মচ্ছল তার জীবনের প্রথম মানবিক কাজটি করেছিলেন মাত্র ৮ বছর বয়সে, যখন তিনি তার্গিল যুদ্ধে আহত সৈন্যদের জন্য অর্থ সংগ্রহ করেছিলেন। এরপর ২০১১ সালে, মাত্র ৭ বছরের একটি শিশুর জন্য গান গেয়ে তিনি অর্থ সংগ্রহ করেন, যা তার জীবনের প্রথম বড় মানবিক পদক্ষেপ ছিল। এরপর থেকে, তাঁর জীবনে একে একে আসতে থাকে মানবতার গল্প, ছোট ছোট হৃদয়ের সুস্থতা ও জীবনবোধ।

পলক মচ্ছলের জীবনযাত্রা খুবই সাধারণ। তাঁর জীবনযাত্রার মধ্যে কোনো বিলাসিতা নেই, তবে তাঁর সংগ্রহে রয়েছে তিন হাজারেরও বেশি পুতুল—এগুলো সে সমস্ত শিশুদের উপহার, যাদের হার্ট সুস্থ হয়ে উঠেছে তাঁর কণ্ঠের সুরের মাধ্যমে। এই অসামান্য অবদান তাকে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে স্থান করে দিয়েছে। তিনি হলেন প্রথম বলিউড গায়িকা, যাঁর নাম মানব সেবায় অবদানের জন্য গিনেস বুকে উঠেছে।

 

এনএফ৭১/ওতু



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top