বর্ষীয়ান অভিনেত্রী ও পরিচালক ভদ্রা বসুর মৃত্যু

ওপার বাংলার নাটকের মঞ্চ থেকে বড় পর্দা  দুই মাধ্যমেই দাপুটে উপস্থিতি ও অসামান্য অভিনয়শৈলীর মাধ্যমে দর্শকদের বরাবরই মুগ্ধ করে এসেছেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী ও পরিচালক ভদ্রা বসু। শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) রাতে কলকাতার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল প্রায় ৬৫ বছর।

ভারতীয় গণমাধ্যমের তথ্যমতে, কিছুদিন ধরে গুরুতর অসুস্থতায় ভুগছিলেন এই গুণী শিল্পী। প্রথমে তার গলব্লাডারে স্টোন ধরা পড়ে। তবে উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদযন্ত্রের জটিলতার কারণে তাৎক্ষণিক অস্ত্রোপচার করা সম্ভব হয়নি। ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসা চললেও হঠাৎ করে ঘরে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পাওয়ায় অবস্থার আরও অবনতি ঘটে।

আঘাত পাওয়ার পর তাঁকে দ্রুত একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে স্থানান্তর করা হয় কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে। কিন্তু পরিস্থিতি জটিল হওয়ায় তাকে নেওয়া হয় বাঙ্গুর ইনস্টিটিউট অফ নিউরোসায়েন্সে, যেখানে তার মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করা হয়। এ সময় আবার কিডনির জটিলতাও দেখা দেয়। অবশেষে চিকিৎসকদের সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে শুক্রবার রাতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

ভদ্রা বসু ছিলেন প্রখ্যাত নাট্য নির্দেশক ও অভিনেতা অসিত বসুর সহধর্মিণী। মঞ্চ ও ক্যামেরার সামনে তিনি ছিলেন এক উজ্জ্বল প্রতিভা। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। সুমন মুখোপাধ্যায়ের ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’ এবং অনিলাভ চট্টোপাধ্যায়ের ‘বেলা’– দুই ছবিতেই তার অভিনয় ব্যাপক প্রশংসা কুড়ায়।

শিল্প-সংস্কৃতি অঙ্গনে এক অপূরণীয় ক্ষতি হলো তার মৃত্যুতে। ভদ্রা বসুর স্মৃতি ও তার সৃষ্ট কাজ চিরদিন বেঁচে থাকবে দর্শকদের হৃদয়ে।