শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২

ফরিদপুর জিলা স্কুলের অনুষ্ঠানে জেমসের কনসার্টে হামলায় ভারতীয় শিল্পীদের তীব্র নিন্দা

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশিত: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬:৪০

সংগৃহীত

ফরিদপুর জিলা স্কুলের ১৮৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত নগর বাউল জেমসের কনসার্টে হামলা ও বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটেছে। গত ২৬ ডিসেম্বর রাতে দর্শক ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার কারণে অনুষ্ঠানটি পণ্ড হয়ে যায়। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ভারতের একাধিক জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী।

কনসার্ট পণ্ড হওয়ার ঘটনায় ভারতীয় সংগীতশিল্পী জোজো বলেন, “বাংলাদেশে জেমসের অনুষ্ঠানে যা হয়েছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং লজ্জাজনক। একজন শিল্পী যদি নিজের শিল্প প্রদর্শনের মঞ্চেই নিরাপদ না থাকেন, এর থেকে দুঃখের আর কী হতে পারে? বাংলাদেশে শিল্প ও শিল্পীদের ওপর যেভাবে আক্রমণ চলছে, তা সত্যিই লজ্জার।”

আরেক ভারতীয় সংগীতশিল্পী রাঘব চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এই বাংলাদেশকে আমি চিনি না। বাংলাদেশে আমি বহু কাজ করেছি, এখনও দুটি প্রজেক্ট নিয়ে কাজ চলছিল। জেমসের মতো একজন সিনিয়র শিল্পী কনসার্ট করতে পারলেন না—এর থেকে বেদনাদায়ক আর কী হতে পারে? কিছুদিন ধরে বাংলাদেশের শিল্প-সংস্কৃতি ও শিল্পীদের ওপর যেভাবে আঘাত নেমে আসছে, তা অত্যন্ত হতাশাজনক।”

ক্যাকটাস ব্যান্ডের সংগীতশিল্পী সিধুও এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “বাংলাদেশে শিল্পী ও শিল্পের ওপর বারবার আঘাত আসছে। এ ধরনের বিশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।”

এদিকে কনসার্ট পণ্ড হওয়ার দায় আয়োজকদের অব্যবস্থাপনাকেই দায়ী করেছেন জেমস। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, “এটি সম্পূর্ণ আয়োজকদের অব্যবস্থাপনা ও ব্যর্থতা।”

ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরে জেমসের ব্যক্তিগত সহকারী রবিন ঠাকুর বলেন, “আমরা সাড়ে সাতটায় ফরিদপুর পৌঁছাই। অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার পরই জানতে পারি সেখানে বিশৃঙ্খলা হচ্ছে। তখন আমরা গেস্ট হাউসেই ছিলাম। রাত সাড়ে ১০টার দিকে পরিস্থিতি চরম আকার ধারণ করলে অনুষ্ঠান বাতিলের কথা জানানো হয়। এরপর আমরা ঢাকায় ফিরে আসি।”

ঘটনাটি নিয়ে দেশ-বিদেশে শিল্পী সমাজে উদ্বেগ ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। শিল্পী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে।

 

এনএফ৭১/ওতু



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top