আমি মা-বাবার পাপেট নই— আদালতে দাঁড়িয়ে কাঁদলেন তরুণী মেহরীন আহমেদ
নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১২ জুলাই ২০২৫, ১৪:১৬

ঢাকার আদালতে এক অদ্ভুত, বিরল এবং মর্মান্তিক দৃশ্য। মা-বাবার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে কাঁদছেন এক তরুণী। তার কণ্ঠে ক্ষোভ, চোখে জল আর হৃদয়ে দীর্ঘ দিনের চাপা কষ্ট। তিনি বলছেন—আমি তাদের পাপেট নই। আমাকে কেন গালি দেবে? কেন শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করবে? আমি শুধু সুরক্ষা চাই!
তরুণীর নাম মেহরীন আহমেদ। রাজধানীর একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের শিক্ষার্থী। তার বয়স মাত্র ১৯। তিনি অভিযোগ করেছেন— বাবা নাসির আহমেদ ও মা জান্নাতুল ফেরদৌস তাকে নিয়মিত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন।
গত ২২ জুন, এই তরুণী মা-বাবার বিরুদ্ধে মামলা করেন—নিজের সুরক্ষা ও স্বাধীনতা চেয়ে। আদালতে শুনানির সময় উপস্থিত ছিলেন মেহরীনের মা-বাবাও। তবে মেয়ের বক্তব্য শুনে তারা ছিলেন একেবারে নিরব।
মেহরীন আদালতে বলেন—আমি ঘুমাতে পারি না, খেতে পারি না। দুই বছর ধরে আমাকে মানসিক হাসপাতালে রাখা হয়েছিল। সেখানে আমাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে হেনস্তা করা হয়েছে। তার দাবি— সব কিছু হয়েছিল বিনা কারণেই।
এদিকে, মা-বাবার আইনজীবী বলেছেন—তারা মেয়েকে ভালোবাসেন, বিদেশে পড়াশোনার সুযোগও করে দিতে চান। তারা চান— মেয়ে যেন নিরাপদ থাকুক। আদালত এখনো চূড়ান্ত আদেশ দেননি।
তবে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে—এটি কি সত্যিই একটি নির্যাতনের কাহিনি? না কি ভেতরে আরও কিছু আছে, যেটি এখনো অজানা? এই ঘটনা আমাদের সামনে তুলে ধরছে এক জটিল বাস্তবতা—অভিভাবকত্ব আর ব্যক্তিগত স্বাধীনতার মাঝখানে যে সংঘাত, তা কখনো কখনো আদালত পর্যন্তও গড়ায়।
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।