তত্ত্বাবধায়ক বাতিলের রায় নিয়ে বিতর্ক! ৭ দিনের রিমান্ডে খায়রুল হক
নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৩:১৯

সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক—যিনি একসময় দেশের সর্বোচ্চ আদালতের শীর্ষ আসনে ছিলেন—এবার দাঁড়ালেন কাঠগড়ায়। ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্লাহ আজ বুধবার খায়রুল হককে সাত দিনের রিমান্ডে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
অভিযোগের ভাষ্যটা চমকে দেওয়ার মতো—বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি দুর্নীতি, বিদ্বেষ ও বেআইনি রায় দিয়েছেন, এমনকি জাল রায় তৈরি করেছেন বলেও মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।
২০২৩ সালের ২৭ আগস্ট, শাহবাগ থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুহা. মুজাহিদুল ইসলাম। মামলায় বলা হয়—২০১১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের রায়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইচ্ছায় প্রভাবিত হন, এবং ভবিষ্যতে ভালো পদ পাওয়ার লোভে তিনি বেআইনি কাজ করেন।
মামলাটি করা হয়েছে দণ্ডবিধির ২১৯ ও ৪৬৬ ধারায়—অর্থাৎ বেআইনি রায় দেওয়া এবং জাল রায় তৈরির অভিযোগে। গত ২৪ জুলাই খায়রুল হককে তার ধানমন্ডির বাসা থেকে আটক করে ডিবি পুলিশ। এরপর একাধিক মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
আজ সকালে কারাগার থেকে আদালতে তোলা হলে, কাঠগড়ায় দাঁড়ান তিনি—নিশ্চুপ ছিলেন, পাশে কোনো আইনজীবীও ছিলেন না। খায়রুল হক ২০১০ সালের ১ অক্টোবর থেকে ২০১১ সালের ১৭ মে পর্যন্ত ছিলেন প্রধান বিচারপতি। পরে তিনি বহুবার আইন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান। এক সময় যিনি বিচারপতি ছিলেন, এখন তাকেই বিচারকের সামনে দাঁড়াতে হচ্ছে। এটি বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থার ইতিহাসে এক নজিরবিহীন অধ্যায়।
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।