মতিউর রহমান দম্পতিকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুদক
নিউজফ্ল্যাশ ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬:৪২

ছাগলকাণ্ডে আলোচনায় আসা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক সদস্য মতিউর রহমান ও তার স্ত্রী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ লাকিকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টা ৪০ মিনিটের দিকে তাদের কারাগার থেকে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আনা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক সাবিকুন নাহার তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।
এর আগে, গতকাল (১৪ সেপ্টেম্বর) মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুল ইসলাম একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে ১৩ সেপ্টেম্বর মতিউর রহমান ও লায়লা কানিজের তিন দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিলেন তদন্ত কর্মকর্তা।
দুদক অভিযোগ করছে, মতিউর রহমান ও লায়লা কানিজ ২ কোটি ৪৫ লাখ ৩৪ হাজার ৬১১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন এবং জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৫৩ কোটি ৪১ লাখ ৩৮ হাজার ৩৯৩ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। এছাড়া, তাদের মেয়ে ফারজানা রহমানের বিরুদ্ধেও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত একই অঙ্কের সম্পদ অর্জনের মামলা রয়েছে।
গত বছরের ২ জুলাই দুদক মতিউর ও তার পরিবারের সদস্যদের সম্পদ বিবরণী চেয়ে নোটিশ পাঠায়। পরে ২৯ আগস্ট মতিউর, তার দুই স্ত্রী ও ছেলে-মেয়েসহ পাঁচজন সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি মতিউর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উল্লেখ্য, কোরবানির জন্য ১৫ লাখ টাকা দিয়ে একটি ছাগল কিনে আলোচনায় আসেন মতিউরের ছেলে মুশফিকুর রহমান ইফাত। এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হলে একের পর এক বেরিয়ে আসে মতিউর পরিবারের বিপুল সম্পদের তথ্য।
দুদকের অনুসন্ধানে জানা যায়, মতিউর ও তার পরিবারের নামে রয়েছে, ৬৫ বিঘা জমি, আটটি ফ্ল্যাট, দুটি রিসোর্ট ও পিকনিক স্পট, তিনটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান। এছাড়া তাদের ব্যাংক হিসাব, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের হিসাব ও শেয়ারবাজারের বিও অ্যাকাউন্ট ইতোমধ্যে ক্রোক করা হয়েছে। গত বছরের ২৪ জুন আদালত তাদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন।
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।