বৃহঃস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ কার্তিক ১৪৩২

ঠান্ডা ভাত গরম করে খেলে কি হয়,জেনে নিন

লাইফস্টাইল ডেস্ক | প্রকাশিত: ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৫:১২

সংগৃহীত

বাংলাদেশের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকার অপরিহার্য অংশ ভাত। তবে ডায়াবেটিস বা রক্তে শর্করার সমস্যা থাকা মানুষের জন্য ভাত সবসময় একটি চিন্তার বিষয়। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ফুড হ্যাক ভাইরাল হয়েছে, যেখানে বলা হচ্ছে, ভাত রান্নার পর ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে পরে গরম করলে এটি স্বাস্থ্যকর হয়ে যায়।

বিশেষজ্ঞরা বিষয়টিকে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাখ্যা করেছেন। ভারতীয় ডায়েটিশিয়ান রাশি চাহাল বলেন, রান্না করা ভাত ঠান্ডা করলে তার মধ্যে থাকা কিছু সাধারণ স্টার্চ রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চে রূপান্তরিত হয়। রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চ শরীরে পুরোপুরি হজম হয় না, ফলে খাবারের পর রক্তে শর্করার মাত্রা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায়।

ডা. মনোজ আগারওয়াল জানান, যদিও ভাতের মোট স্টার্চের পরিমাণ কমে না, তবে এর ধরন বদলে যায়। গবেষণায় দেখা গেছে, ঠান্ডা করে পুনরায় গরম করা ভাত খেলে খাবারের পর রক্তে শর্করার মাত্রা প্রায় ১০–২০ শতাংশ কমতে পারে।

ডা. আগারওয়াল পরামর্শ দেন, রান্না করা ভাত সর্বোচ্চ দুই ঘণ্টার মধ্যে ফ্রিজে রাখতে হবে এবং খাওয়ার আগে ভালোভাবে গরম করতে হবে। অন্যথায়, ব্যাসিলাস সেরিয়াস নামক ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের ঝুঁকি থাকতে পারে।

রাশি চাহাল আরও জানান, রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চ কেবল রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে না, এটি অন্ত্রের স্বাস্থ্যও উন্নত করে। এটি প্রিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে, উপকারী ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি করে, প্রদাহ কমায় এবং দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখে, ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি কোনো ‘ম্যাজিক কিউর’ নয়, তবে ছোট পরিবর্তন হিসেবে কার্যকর। যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত বা ভাত খেতে পছন্দ করেন কিন্তু রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান, তারা এই পদ্ধতি একবার চেষ্টা করতে পারেন। তবে সবসময় চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।

 

নিফ্লা৭১/ওতু



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top