শীতের সময় গাঁটের ব্যথা কমাতে সহায়ক পাঁচটি খাবার

শীত পুরোপুরি নামার আগেই আবহাওয়ায় ঠাণ্ডার আমেজ ধীরে ধীরে বাড়ছে। এই সময়ে অনেকেরই হাঁটু, কোমর বা গাঁটের ব্যথা বেড়ে যায়। চিকিৎসার পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাসেও সামান্য পরিবর্তন আনলে ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিচের পাঁচটি খাবার নিয়মিত খেলে শীতকালে গাঁটের ব্যথা কিছুটা উপশম হতে পারে—

১. হলুদ ও আদা

রান্নাঘরের দুই পরিচিত মসলা—হলুদ ও আদা—প্রাকৃতিকভাবে ব্যথানাশক হিসেবে কাজ করে। হলুদের কারকিউমিন যৌগ প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে, যা আর্থ্রাইটিসজনিত ব্যথা উপশমে কার্যকর। রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস গরম দুধে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে পান করতে পারেন। পাশাপাশি প্রতিদিন আদা চা পান করা বা রান্নায় আদার ব্যবহার বাড়ানোও উপকারী।

২. ওমেগা–৩ ফ্যাটি এসিডযুক্ত মাছ

ওমেগা–৩ ফ্যাটি এসিড শরীরের প্রদাহ কমিয়ে গাঁটের ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখে। নিয়মিত স্যামন, সার্ডিন, টুনা মাছ খাওয়া ভালো। দেশীয় বিকল্প হিসেবে ইলিশ, রুই ও কাতলা মাছও উপকারী।

৩. অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ শাকসবজি

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে ফ্রি র‍্যাডিক্যালের ক্ষতিকর প্রভাব কমায়, যা গাঁটের ব্যথা উপশমে সহায়তা করে। খাদ্যতালিকায় ব্রকলি, পালং শাক, মিষ্টি আলু ও রঙিন শাকসবজি রাখুন।

৪. ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি–সমৃদ্ধ খাবার

শীতে সূর্যের আলো কম থাকায় শরীরে ভিটামিন ডি’র ঘাটতি দেখা দিতে পারে, যা হাড় দুর্বল করে। তাই ডিমের কুসুম, ফ্যাটি মাছ ও ফর্টিফায়েড দুধ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। হাড় মজবুত রাখতে দই, ছানা ও পনির খেতেও পারেন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শে সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা যেতে পারে।

৫. অলিভ অয়েল

এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েলে থাকা মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট ও ওলিওক্যান্থাল উপাদান ব্যথানাশক হিসেবে কাজ করে। রান্না বা সালাদে অন্য তেলের পরিবর্তে অলিভ অয়েল ব্যবহার করলে এটি শুধু গাঁটের ব্যথাই নয়, হার্ট ও হাড়ের স্বাস্থ্যেও উপকার দেয়।

নিফ্লা৭১/ওতু