সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

কখন সম্পর্ক থেকে সরে আসা জরুরি

লাইফস্টাইল ডেস্ক | প্রকাশিত: ২৪ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৩৩

সংগৃহীত

জীবনে সম্পর্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সব সম্পর্কই যে সুখ দেয়, তা নয়। কখনও কখনও একটি সম্পর্ক এতটাই ক্লান্তিকর হয়ে ওঠে যে তা মানসিক শান্তি নষ্ট করে ফেলে। তবুও অনেকেই সম্পর্ক ধরে রাখেন এই আশা নিয়ে যে “একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে।” কিন্তু সত্যিই কি সব ঠিক হয়? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু লক্ষণ দেখলেই বুঝে নেওয়া উচিত—সরে আসাই আপনার জন্য ভালো।

বিশ্বাস ভেঙে গেলে

যেকোনো সম্পর্কের মূল ভিত্তি হলো বিশ্বাস। একবার এই ভিত্তি নড়ে গেলে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। প্রতারণা, মিথ্যা বা লুকোছাপা যদি নিয়মিত ঘটে, তবে নিজেদের মানসিক সুস্থতার জন্য সম্পর্ক থেকে সরে আসাই শ্রেয়।

আপনি সস্তা হয়ে গেলে

কেউ আপনাকে ছোট করে দেখলে, তুচ্ছ মনে করলে বা গুরুত্ব না দিলে তা শুধু সম্পর্ককে নয়, আপনার আত্মসম্মানকেও আঘাত করে। সম্পর্ক যতই মূল্যবান হোক, আত্মসম্মানের চেয়ে বড় কিছু নয়। সঙ্গী যদি আপনাকে সস্তা ভাবতে শুরু করে, এটি সম্পর্ক ছাড়ার বড় সতর্কসংকেত।

মনোযোগ ও আগ্রহ হারিয়ে গেলে

ভালোবাসার অন্যতম পরিচয় হলো যত্ন ও মনোযোগ। সঙ্গী যদি আপনাকে বারবার অবহেলা করে, আগের মতো আগ্রহ না দেখায়, তাহলে বুঝতে হবে সম্পর্কের উষ্ণতা হারিয়ে গেছে। এমন সম্পর্কে টিকে থাকার চেষ্টা আপনাকেই কষ্ট দেবে।

শ্রদ্ধার অভাব দেখা দিলে

ভালোবাসার মতোই শ্রদ্ধা একটি সুস্থ সম্পর্কের প্রধান স্তম্ভ। অপমান, অসম্মান বা নিয়মিত মানসিক আঘাত—এসব কখনোই স্বাস্থ্যকর নয়। এটি নিশ্চিত সংকেত যে সম্পর্কটি আর রাখা উচিত নয়।

প্রতিদিনের ঝগড়া নিয়মে পরিণত হলে

স্বাভাবিক ঝগড়া যে কোনো সম্পর্কেই থাকতে পারে। কিন্তু প্রতিদিনই যদি ঝগড়া হয়, এবং বারবার চেষ্টা করেও সমাধান না পাওয়া যায়, তবে বুঝতে হবে সম্পর্কটি আপনাদের শান্তি কেড়ে নিচ্ছে। এমন সম্পর্ক ধরে রাখা মানে নিজেকে আরও কষ্ট দেওয়া।

নিজেকে ভালোবাসুন

একটি সম্পর্ক শেষ মানেই জীবনের শেষ নয়—বরং নতুন শুরুর সুযোগ। প্রত্যেক মানুষই সুখী হওয়ার অধিকার রাখে। তাই যে সম্পর্ক কষ্ট দেয়, অপমান করে বা মানসিকভাবে দুর্বল করে, সেখান থেকে সরে আসাই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ। নিজেকে মূল্য দিন, আত্মসম্মানকে অগ্রাধিকার দিন—জীবন আরও সুন্দর হতে পারে।

 

এনএফ৭১/ওতু



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top