মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

ভিটামিন ডি পাওয়ার সেরা সময় সকালে নাকি বিকেলে

লাইফস্টাইল ডেস্ক | প্রকাশিত: ২৫ নভেম্বর ২০২৫, ১৪:১০

সংগৃহীত

ভিটামিন ডি মানবদেহের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। হাড় মজবুত রাখা, পেশি শক্তিশালী করা, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো, মুড নিয়ন্ত্রণ ও বিপাকক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এটি। কিন্তু ভারত, বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে প্রচুর সূর্যালোক থাকলেও মানুষের মধ্যে ভিটামিন ডি–র ঘাটতি ক্রমেই বাড়ছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিটামিন ডি ঘাটতি সম্পর্কে প্রচলিত কিছু ভুল ধারণাই এর অন্যতম কারণ। অনেকেই মনে করেন ভোরের নরম রোদ ভিটামিন ডি পাওয়ার জন্য সবচেয়ে উপকারী। কিন্তু সার্জিক্যাল গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট ডা. অংশুমান কৌশল জানিয়েছেন, সকাল ৭টার আগে সূর্যের আলোতে UVB রশ্মি থাকে না, ফলে শরীরে ভিটামিন ডি তৈরি হয় না।

তার মতে, সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা—এই সময়টিই ভিটামিন ডি তৈরির জন্য সবচেয়ে উপযোগী। কারণ এ সময় UVB রশ্মি সবচেয়ে শক্তিশালী থাকে এবং অল্প সময়ের মধ্যেই শরীর পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি উৎপাদন করতে পারে।

ভিটামিন ডি পাওয়ার সঠিক পদ্ধতি

দিনে ১০–১৫ মিনিট সরাসরি রোদে থাকা যথেষ্ট।

হাত, পা ও মুখ যেন রোদে থাকে।

সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে ভিটামিন ডি তৈরি হয় না।

 

জানালার আলোতে কি ভিটামিন ডি পাওয়া যায়?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, না। কারণ UVB রশ্মি কাচ ভেদ করতে পারে না। তাই জানালার পাশের আলোতে বসে ভিটামিন ডি তৈরি হয় না।

ঘাটতির ঝুঁকি বেশি যাদের

যারা দীর্ঘ সময় ঘরে থাকেন, দূষণের মধ্যে বাস করেন, নিয়মিত সানস্ক্রিন ব্যবহার করেন বা রোদে কম বের হন—তাদের ভিটামিন ডি ঘাটতির ঝুঁকি বেশি। ডা. কৌশল জানান, দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় ৮০–৯০% মানুষ ভিটামিন ডি ঘাটতিতে ভোগে। এর ফলে হাড় ক্ষয়, পেশি দুর্বলতা, ক্লান্তি, সর্দি-কাশি ও বিষণ্নতার ঝুঁকি বাড়ে।

খাবার থেকে ভিটামিন ডি পাওয়ার উপায়

স্যালমন, টুনা মতো চর্বিযুক্ত মাছ

কড লিভার তেল

ডিমের কুসুম

মাশরুম

দই

 

সতর্কতা

অতিরিক্ত তাপে বা ডিপ ফ্রাই করলে ভিটামিন ডি নষ্ট হয়ে যায়।

রক্তে ভিটামিন ডি ২০ এনজি/এমএল-এর নিচে হলে সাপ্লিমেন্ট প্রয়োজন হতে পারে—তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে।

সাপ্লিমেন্ট সবসময় চর্বিযুক্ত খাবারের সঙ্গে নিতে হয়।

 

অতিরিক্ত টিপস

দীর্ঘ সময় রোদে থাকা উচিত নয়।

ছোট শিশুদের অতিরিক্ত রোদে রাখা ঠিক নয়।

অতিরিক্ত ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট ক্ষতিকর হতে পারে।

নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

 

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা

এনএফ৭১/ওতু



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top