শীতকালে বাড়ছে পায়ের পেশিতে টান: বিশেষজ্ঞরা জানালেন কারণ ও করণীয়

শীতের সময় ঘুমের মধ্যে হঠাৎ পায়ের পেশীতে টান ধরা অনেকের জন্যই বিরক্তিকর সমস্যা। চিকিৎসা পরিভাষায় একে ‘মাসল ক্র্যাম্প’ বলা হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতের মৌসুমে শরীরের পানিশূন্যতা, পুষ্টির ঘাটতি ও অনিয়ন্ত্রিত ব্যায়ামের কারণে এই সমস্যা বাড়তে দেখা যায়।

কেন হয় মাসল ক্র্যাম্প?

কম পানি পান করা:

শীতে পানি কম পান করার প্রবণতা বাড়ে। এতে শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে যায় এবং হঠাৎ পেশী শক্ত হয়ে তীব্র ব্যথা তৈরি হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, পর্যাপ্ত পানি না খেলেই বেশি দেখা দেয় পেশীতে টান।

ভারী ব্যায়াম বা চোট:

জিম বা যোগাসন করার সময় সচেতন না হলে পেশীতে চাপ পড়ে। শারীরিক সক্ষমতার বাইরে গিয়ে ব্যায়াম বা চোট পেলে মাসল ক্র্যাম্পের ঝুঁকি বাড়ে। প্রশিক্ষকের পরামর্শ ছাড়া কঠিন ব্যায়াম না করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।

টান ধরলে কী করবেন?

একটু হাঁটুন:

পায়ের পেশীতে টান ধরলে শুয়ে থাকা বা বসে থাকা অবস্থায় ব্যথা আরও বাড়তে পারে। তাই ব্যথা সহ্য করেও ধীরে ধীরে হাঁটার চেষ্টা করলে পেশী শিথিল হয় এবং যন্ত্রণা কমে।

স্যালাইন পান করুন:

শরীরে ইলেকট্রোলাইটসের ঘাটতি হলে পেশী সংকোচন বাড়ে। মাঝেমধ্যে লবণ-চিনির পানি বা স্যালাইন পান করলে শরীরে ইলেকট্রোলাইটসের ভারসাম্য ফিরে আসে এবং ক্র্যাম্পের ঝুঁকি কমে।

খনিজ ঘাটতি পূরণ:

পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামের অভাবে ক্র্যাম্প হতে পারে। সমস্যা ঘন ঘন হলে চিকিৎসকের পরামর্শে পরীক্ষা করিয়ে এই খনিজ উপাদানগুলো স্বাভাবিক আছে কি না দেখে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

পানি পান বৃদ্ধি:

রক্ত সঞ্চালন বজায় রাখতে পর্যাপ্ত পানি অপরিহার্য। পানি কম খেলে সারা শরীরে রক্ত প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়, যা মাসল ক্র্যাম্পের কারণ হতে পারে। তাই শীতকালেও প্রয়োজন অনুযায়ী পানি পান জরুরি।

চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি

সমস্যা বারবার হলে বা ব্যথা তীব্র আকার ধারণ করলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, এটি অনেক সময় শরীরের অন্য অন্তর্নিহিত সমস্যারও ইঙ্গিত হতে পারে।

এনএফ৭১/ওতু