মানসিক স্বাস্থ্যের রেড ফ্ল্যাগ: ছোট সংকেতগুলো বড় সমস্যার আগে ধরুন
লাইফস্টাইল ডেস্ক | প্রকাশিত: ৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬:০৯
আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া ঠিক ততটাই গুরুত্বপূর্ণ যতটা শরীরের যত্ন নেওয়া। ব্যস্ত জীবনে আমরা প্রায়ই বুঝতে পারি না ভেতরে কী চলছে। কখনো কখনো ছোট ছোট সমস্যা বড় সংকটে পরিণত হয়, যদি আমরা সঠিক সময়ে সতর্ক না হই।
রিলেশনশিপ রুলস-এর তথ্য অনুযায়ী, এখানে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ ‘রেড ফ্ল্যাগ’ রয়েছে যেগুলো আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের ঝুঁকির ইঙ্গিত দিতে পারে:
ঘুমের অভ্যাসে পরিবর্তন:
হঠাৎ ঘুমাতে সমস্যা হওয়া, ঘুম ধরে না থাকা, রাতের বিরতি বা অতিরিক্ত ঘুম—সবই সতর্কতার সংকেত। খারাপ ঘুম মেজাজ, শক্তি এবং দৈনন্দিন কাজকর্মকেও প্রভাবিত করে।
আগ্রহ হারানো:
আগে যেসব কাজ বা শখে আনন্দ পেতেন, এখন আর তা না লাগা—এটি অ্যানহেডোনিয়ার লক্ষণ। বন্ধু বা পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোও যদি আনন্দদায়ক না লাগে, তবে এটি স্ট্রেস বা ডিপ্রেশনের ইঙ্গিত হতে পারে।
খিটখিটে মেজাজ ও মুডের ওঠানামা:
হঠাৎ রাগ, মনের খারাপ অবস্থা, অনির্দিষ্ট কান্না—এগুলো মানসিক চাপের চিহ্ন। নিজের অনুভূতিকে উপেক্ষা না করে স্বীকার করা এবং প্রয়োজনে কারও সাথে কথা বলা সাহায্য করতে পারে।
মনোযোগ ধরে রাখতে সমস্যা:
কাজের সময় মনোযোগ হারানো, পড়াশোনায় বা কথোপকথনে মনোযোগ না থাকা—এসব মানসিক চাপের লক্ষণ। মাথা ঝাপসা বা সিদ্ধান্ত নিতে অসুবিধাও সতর্কতার সংকেত।
শারীরিক লক্ষণ:
মানসিক সমস্যার প্রভাব প্রায়ই শরীরেও প্রকাশ পায়—অস্বাভাবিক ক্লান্তি, মাথাব্যথা, পেটব্যথা, পেশিতে টান বা খাওয়ার অভ্যাসের পরিবর্তন।
মনের সমস্যা এবং শরীরের অবস্থা একে অপরের সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত। তাই এসব লক্ষণ দেখা দিলে নিজের ভেতরের অনুভূতিগুলো খেয়াল করা এবং মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষায় পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রাধান্য দিলে ছোট সংকেতগুলো ধরেই বড় সমস্যার আগে সাহায্য নেওয়া সম্ভব।
এনএফ৭১/ওতু
বিষয়:

পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।