রবিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

রাত জাগার অভ্যাস প্রজনন স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর: আইভিএফ বিশেষজ্ঞের সতর্কতা

লাইফস্টাইল ডেস্ক | প্রকাশিত: ৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩:৩৮

সংগৃহীত

আধুনিক কর্মব্যবস্থার কারণে অনেকেই রাত জেগে কাজ করার অভ্যাসে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন। বিশেষ করে ২৪ ঘণ্টা শিফটে কাজ করা অফিস কর্মীদের মধ্যে রাত জাগা স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু এই অভ্যাস শরীরের ওপর নীরবে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।

আইভিএফ বিশেষজ্ঞ ডা. ইলা গুপ্তা বলেন, “মানুষের শরীর একটি নির্দিষ্ট ঘুমের ছন্দ অনুযায়ী কাজ করে। রাতের কাজ এই ছন্দ ভেঙে দেয় এবং হরমোনের ভারসাম্য অস্বাভাবিক হয়ে যায়। নারীদের মাসিক চক্র বিঘ্নিত হয়, মেলাটোনিন কম উৎপন্ন হয় এবং স্ট্রেস হরমোন কর্টিসল বেড়ে যায়। পুরুষদের টেস্টোস্টেরন কমে, ফলে শুক্রাণুর সংখ্যা ও গুণগত মান হ্রাস পায়। অনিয়মিত জীবনযাপন ও গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করা অনেক দম্পতির জন্য বন্ধ্যাত্বের লুকানো কারণ হতে পারে।”

ডা. গুপ্তা আরও বলেন, “রাত জাগার ফলে মানসিক চাপ বৃদ্ধি পায়, অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস এবং অতিরিক্ত ক্যাফেইন ও প্রক্রিয়াজাত খাবারের উপর নির্ভরশীলতা বাড়ে। এসব মিলিতভাবে প্রজনন ক্ষমতাকে আরও দুর্বল করে। এছাড়াও ক্যারিয়ার গড়ার চাপ অনেক দম্পতিকে সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা পিছিয়ে দিতে বাধ্য করে, যা বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ফার্টিলিটি হ্রাসকে ত্বরান্বিত করে।”

তিনি সুপারিশ করেন, “যদিও কাজের সময়সূচি সবসময় নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়, জীবনধারায় পরিবর্তন আনা যায়। নিয়মিত ঘুমের সময় বজায় রাখা, রাতের স্ক্রিন টাইম কমানো, সুষম খাবার খাওয়া, নিয়মিত ব্যায়াম এবং মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ – এই ছোট ছোট পরিবর্তন ভবিষ্যতের বড় স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে সাহায্য করে।”

ডা. গুপ্তা সতর্ক করে বলেন, “আজ সামান্য সচেতনতা নিলে আগামী দিনে জটিল স্বাস্থ্যসমস্যা থেকে সহজেই রক্ষা পাওয়া সম্ভব।”

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

 

এনএফ৭১/ওতু



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top