• ** জাতীয় ** আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি : শেখ হাসিনা ** আবারও তিন দিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি ** চুয়াডাঙ্গায় হিট স্ট্রোকে দুই নারীর মৃত্যু ** ইউআইইউ ক্যাম্পাসে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’ নিয়ে তোলপাড় সারাদেশ ** সিলেটে মসজিদে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে ইমামের মৃত্যু ** নরসিংদীতে হিট স্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু ** সব ধরনের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন : https://www.newsflash71.com ** সব ধরনের ভিডিও দেখতে ভিজিট করুন : youtube.com/newsflash71 ** লাইক দিন নিউজফ্ল্যাশের ফেসবুক পেইজে : fb/newsflash71bd **


পরিবারের দ্বিমতে শুরু করেন সংগীতচর্চা

৫৮ ছুঁলেন সংগীতের কালপুরুষ রকস্টার জেমস, বললেন- গানই আনন্দ, গানই প্যাশন...

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ৩ অক্টোবর ২০২২, ০২:৪২

রকস্টার জেমস

নাগরিক বাউলের বেশে যিনি রক গানের পতাকা বহন করছেন বাংলার পথে পথে, যার গানে বহুরাত নির্ঘুম কেটে যায় হাজারো তরুণের, যে না থাকলে জমে না কোনো উৎসবের আসর, যার নাম শুনলেই সবার মনে ভেসে ওঠে এক রকস্টারের অবয়ব। তিনি সেই কিংবদন্তি রকস্টার মাহফুজ আনাম জেমস।

সংগীতের এই কালপুরুষের ৫৮ তম জন্মদিন আজ। এই গানের ফেরিওয়ালার জন্ম ১৯৬৪ সালে, নওগাঁয়। বেড়ে ওঠা এবং সংগীতে জড়িয়ে পড়ার পুরোটাই চট্টগ্রামে। নগর বাউল জেমসের বাবা ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা। পরিবারের দ্বিমতে সংগীতচর্চা শুরু করেন জেমস। একসময় তিনি সংগীতের নেশায় ঘর ছেড়ে পালিয়ে যান। উঠেন চট্টগ্রামের আজিজ বোর্ডিং-এ।

সেখানে থেকেই তার সংগীতের ক্যারিয়ার শুরু। গান পাগল জেমস ১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠা করেন ব্যান্ড ‘ফিলিংস’। এরপর ‘ফিলিংস’ ভেঙে গড়ে তোলেন নতুন লাইনআপে ব্যান্ড ‘নগর বাউল’। গানের কথায় ভিন্নতা ও কাব্যধর্মী শব্দের আধিক্য সবার থেকে আলাদা করে ফেলে জেমসকে।

১৯৮৭ সালে প্রথম অ্যালবাম ‘স্টেশন রোড’ প্রকাশ পায়। ১৯৮৮ সালে ‘অনন্যা’ নামের একক অ্যালবাম প্রকাশ করে সুপারহিট হয়ে যান জেমস। এর পরের গল্প কেবলই সফলতার। অসংখ্য জনপ্রিয় গান তিনি উপহার দেন নব্বই দশকে। ব্যান্ড সংগীতকে নিয়ে যান অনন্য উচ্চতায়। 

জেমসের গায়কি তাকে আলাদা করে পরিচয় করিয়ে দিতে যথেষ্ট। নব্বইয়ের দশকে নগর কিংবা পাড়া মহল্লার যুবকদের কণ্ঠে শোনা যেত জেমসের গান। সুপারহিট সেই গানগুলো আজও মুগ্ধতা ছড়ায়।

জেমসকে নিয়ে লিখেছেন রাজীব রায়হান

দেশ ছাড়িয়ে বলিউডের গানেও তুমুল জনপ্রিয়তা পান তিনি। ২০০৫ সালে বলিউডের গ্যাংস্টার চলচ্চিত্রে তিনি প্লেব্যাক করেন। চলচ্চিত্রে তার গাওয়া 'ভিগি ভিগি' গানটি ব্যপক জনপ্রিয়তা পায়। ২০০৬ সালে তিনি ও লামহে চলচ্চিত্রে “চল চলে” গানে কণ্ঠ দেন। ২০০৭ সালে তিনি লাইফ ইন এ মেট্রো চলচ্চিত্রে আবারও প্লেব্যাক করেন। চলচ্চিত্রে তার গাওয়া গান দুইটি হলো রিশতে এবং আলবিদা (রিপ্রাইস)।

সর্বশেষ হিন্দি চলচ্চিত্রে তিনি প্লেব্যাক করেছেন ওয়ার্নিং চলচ্চিত্রে। তার গাওয়া বেবাসি গানটি মুক্তি পায় ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে। স্টেজে নিয়মিত ব্যস্ত থাকলেও নতুন গানে অনেক বছরের বিরতি টেনেছিলেন। গত বছর ‘আই লাভ ইউ’ গানটি প্রকাশের মধ্যে দিয়ে সেই বিরতির অবসান হয়। জেমস জানিয়েছেন, দ্রুতই ভক্তদের জন্য আরও একটি নতুন গান নিয়ে হাজির হবেন তিনি।

গান আর জীবন নিয়ে জেমস-এর সোজাসাপ্টা বয়ান, ‘প্রতিটা দিনই আমি আমার মতো করে উপভোগ করি। কোনো লক্ষ্য ঠিক করে সামনে চলি না। যে কাজটা করে আনন্দ পাই, সেটা করি। আগ্রহ না হলে কখনোই করি না। আমার জীবনে অনেক ওঠানামা ছিল। গান গাইতে এসে কোনো লক্ষ্য স্থির করিনি। গান করছি, এটাই আমার আনন্দ, এটাই আমার প্যাশন। তারপর কী হয়েছে না হয়েছে ভাবিনি। কিছু না হলেও গানই করতাম।’ গুরুকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top