• ** জাতীয় ** আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি : শেখ হাসিনা ** আবারও তিন দিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি ** চুয়াডাঙ্গায় হিট স্ট্রোকে দুই নারীর মৃত্যু ** ইউআইইউ ক্যাম্পাসে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’ নিয়ে তোলপাড় সারাদেশ ** সিলেটে মসজিদে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে ইমামের মৃত্যু ** নরসিংদীতে হিট স্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু ** সব ধরনের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন : https://www.newsflash71.com ** সব ধরনের ভিডিও দেখতে ভিজিট করুন : youtube.com/newsflash71 ** লাইক দিন নিউজফ্ল্যাশের ফেসবুক পেইজে : fb/newsflash71bd **


আজ শুভ বড়দিন

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ২৫ ডিসেম্বর ২০২০, ১৫:২৪

ছবি: নিউজফ্ল্যাশ৭১

ফুল, নানা রঙের বেলুন, নকশা করা কাগজ, জরি ব্যবহার করে সাজানো হয়েছে রাজধানীসহ সারাদেশের পবিত্র গির্জাগুলো। নিয়নবাতির আলোয় গির্জায়–গির্জায় বর্ণিল সাজে সেজেছে ক্রিসমাস ট্রি। খ্রিস্টান ধর্মে বিশ্বাসীদের অনেকের ঘরেই বসানো হয়েছে প্রতীকী গোশালা। আর এতো সব আয়োজন ২৫ ডিসেম্বর ঘিরে। এই দিনটি (আজ) খ্রিস্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ক্রিসমাস ডে। বাংলাদেশে এই উৎসব বড়দিন নামে পরিচিত।

নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) পরিস্থিতিতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বড়দিন উদযাপন করা হচ্ছে।

খ্রিস্টানদের বিশ্বাস অনুসারে, ডিসেম্বরের ২৫ তারিখের ঠিক নয় মাস আগে মেরির গর্ভে প্রবেশ করেন যিশু। সম্ভবত, এই হিসাব অনুসারেই ২৫ ডিসেম্বর তারিখটিকে যিশুর জন্ম তারিখ ধরা হয়।

বড়দিন খ্রিষ্টীয় ধর্মানুষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও, বিশ্বে সব সম্প্রদায়ের মানুষ্ই বড়দিনের উৎসব পালন করে। বড়দিন উদযাপনে উপহার দেওয়া, সংগীত, বড়দিনের কার্ড বিনিময়, গির্জায় ধর্মোপাসনা, ভোজ, এবং বড়দিনের বৃক্ষ, আলোকসজ্জা, যিশুর জন্মদৃশ্য এবং হলি সমন্বিত এক বিশেষ ধরনের সাজসজ্জার আয়োজন করা হয়।

যুগ যুগ ধরে বড়দিন উপলক্ষে ব্যবসা-বাণিজ্য ও ক্রয়-বিক্রয়ের একটি বিশেষ মৌসুম চলে আসছে। যদিও মহামারি কোভিডের কারণে এবারের বড়দিনের চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ভারত ও বাংলাদেশেও বড়দিন রাষ্ট্রীয় ছুটির দিন হিসেবে পালিত হয়।

খ্রিস্টধর্মাবলম্বীরা আজ সারা দিন আনন্দ-উৎসব ও প্রার্থনার মধ্য দিয়ে দিনটি উদ্‌যাপন করবেন। দিনটি উপলক্ষে অনেক খ্রিষ্টান পরিবারে কেক তৈরি হবে, থাকবে বিশেষ খাবারের আয়োজন।

খ্রিস্টধর্ম মতে, প্রায় দুই হাজার বছরেরও বেশি আগে আজকের দিনে জেরুজালেমের দক্ষিণে বেথলেহেম নগরীর এক গোয়ালঘরে জন্মগ্রহণ করেন খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিস্ট। বিশ্বে শান্তির বাণী ছড়িয়ে দেওয়া, মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করা এবং সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচার করতে তার আগমন ঘটেছিল।

বেথেলহেমের গরিব কাঠুরের গোয়াল ঘরেই যিশুখ্রিস্টের জন্ম। সেই ঘটনা স্মরণ করে বাড়িতে ধর্মীয় আবহ সৃষ্টি করতেই এটি করেন যিশুর অনুসারীরা।

দুই সহস্রাধিক বছর আগে এই শুভদিনে পৃথিবীকে আলোকিত করে জন্মগ্রহণ করেন খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিস্ট। বেথেলহেমের এক গোয়ালঘরে কুমারি মাতা মেরির কোলে জন্ম হয়েছিল যিশুর। খ্রিস্ট ধর্মানুসারীরা বিশ্বাস করেন কোনো পুরুষের স্পর্শ ছাড়াই যিশুখ্রিস্টের জন্ম হয়। সেই অর্থে তিনি ঈশ্বরের পুত্র। সৃষ্টিকর্তার অপার মহিমায় সেখান থেকেই বিকশিত হয় মুক্তির এই আলোর দিশারী। যার আগমন পাপের আবর্তে নিমজ্জিত মানুষের অন্তরে এনে দেয় শান্তির পরশ।

বড়দিন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী, বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি. এম. কাদের পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তারা দেশের খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সেই সাথে তাদের সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।

সুখী-সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তিনি বলেন, আবহমানকাল ধরে বাংলাদেশে সব ধর্মের মানুষ পারস্পরিক ভালোবাসা ও সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ। বিদ্যমান সম্প্রীতির ঐতিহ্যকে আরও সুদৃঢ় করতে ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেছেন, পৃথিবীতে ন্যায় ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে শোষণমুক্ত সমাজ ব্যবস্থা প্রবর্তনই ছিল যীশু খ্রিস্টের অন্যতম ব্রত। বিপন্ন ও অনাহারকিষ্ট মানুষের জন্য মহামতি যীশু নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। তার জীবনাচরণ ও দৃঢ় চারিত্রিক গুণাবলির জন্য মানব ইতিহাসে তিনি অমর হয়ে আছেন। বড়দিনে প্রধানমন্ত্রী খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীসহ দেশের সব নাগরিকের শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।

যিশুখ্রিস্ট যে সৃষ্টিকর্তার অপার মহিমায় বিকশিত হয়ে আলোর দিশারী ছড়িয়েছেন; যার আগমন পাপের আবর্তে নিমজ্জিত মানুষের অন্তরে এনে দিয়েছে শান্তির পরশ। সেই সুখ আর শান্তিতে ভরে উঠুক জীবন এসই প্রার্থনা খ্রিস্টধর্মাবলম্বীদের।

এনএফ৭১/আরআর/২০২০




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top