• ** জাতীয় ** আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি : শেখ হাসিনা ** আবারও তিন দিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি ** চুয়াডাঙ্গায় হিট স্ট্রোকে দুই নারীর মৃত্যু ** ইউআইইউ ক্যাম্পাসে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’ নিয়ে তোলপাড় সারাদেশ ** সিলেটে মসজিদে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে ইমামের মৃত্যু ** নরসিংদীতে হিট স্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু ** সব ধরনের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন : https://www.newsflash71.com ** সব ধরনের ভিডিও দেখতে ভিজিট করুন : youtube.com/newsflash71 ** লাইক দিন নিউজফ্ল্যাশের ফেসবুক পেইজে : fb/newsflash71bd **


পাকিস্তানে মুদ্রাস্ফীতিতে মাটি রমজানের আনন্দ

দেশে দরিদ্র তিন কোটি ১৭ লাখ, অতিদরিদ্র ৯৫ লাখ

রাজিউর রাহমান | প্রকাশিত: ১৩ এপ্রিল ২০২৩, ১৯:২২

দেশে দারিদ্র্য কমেছে, খরচ বেড়েছে দ্বিগুণ

মহামারি করোনার পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। টানা তিন বছর ধরে মানুষের বেঁচে থাকাটাই যেনও বড় প্রাপ্তি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যেখানে অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছে। সেখানে আমাদের দেশে অস্বাভাবিকভাবে দারিদ্র্যের হার কমেছে বলে দাবি করছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।

বুধবার এক অনুষ্ঠানে বিবিএস বলেছে, দেশে গত সাত বছরের ব্যবধানে দারিদ্র্যের হার কমে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে নেমেছে। একই সঙ্গে অতি দরিদ্রের হার নেমেছে ৫ দশমিক ৬ শতাংশে।

বাংলাদেশ হাউজহোল্ড ইনকাম অ্যান্ড এক্সপেন্ডিচার সার্ভে বা খানা আয় ও ব্যয় জরিপ ২০২২-এ এমন তথ্য উঠে আসে। এতে দেখা যায়, ২০১৬ সালের জরিপে দেশে দারিদ্র্যের হার ছিল ২৪ দশমিক ৩ শতাংশ। ২০২২ সালে তা কমে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে নেমেছে। ২০১০ সালে এ হার ছিল ৩১ দশমিক ৫ শতাংশ।

সবশেষ জনশুমারি অনুসারে, দেশে জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার। সেই হিসাবে দেশে দরিদ্রের সংখ্যা ৩ কোটি ১৭ লাখ ৫৭ হাজার।

বিশ্বব্যাংকের সবশেষ দারিদ্র্যের সংজ্ঞা অনুযায়ী, দৈনিক ১ দশমিক ৯০ ডলারের কম আয় করা মানুষ দরিদ্র বলে গণ্য হবেন।

জরিপের ফলাফলে দেখা যায়, শহরে দরিদ্রের হার ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ আর গ্রামে ২০ দশমিক ৫ শতাংশ। অপরদিকে ২০২২ সালে দেশে অতি দরিদ্রের হার ৫ দশমিক ৬ শতাংশে নেমেছে। ২০১৬ সালে এই হার ছিল ১২ দশমিক ৯ শতাংশ।

২০২২ সালে খানাপ্রতি মাসিক আয় ছিল ৩২ হাজার ৪২২ টাকা। মাসিক খরচ ৩১ হাজার ৫০০ টাকা। অর্থাৎ খানাপ্রতি মাসে এক হাজার টাকা সঞ্চয় হচ্ছে। ২০১৬ সালের জরিপে খানাপ্রতি মাসিক আয় ছিল ১৫ হাজার ৯৮৮ টাকা। সেই হিসাবে ছয় বছরের ব্যবধানে আয় দ্বিগুণ হয়েছে।

বিবিএস জানায়, দারিদ্র্য নিরসনে সরকারের বাস্তবসম্মত হস্তক্ষেপের ফলে দারিদ্র্য কমেছে। সোশ্যাল সিকিউরিটি প্রোগ্রাম (এসএসপি) যেমন- বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, ভিজিডি, ভিজিএফ, প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর জন্য ভাতা, দরিদ্রদের জন্য আয়বর্ধক কর্মসূচি, আশ্রয়ন প্রকল্প, কৃষি পুনর্বাসন কর্মসূচি দারিদ্র্য কমাতে অবদান রেখেছে।

অন্যদিকে, পাকিস্তানিদের জন্য এক কঠিন সময় এসেছে এবারের রমজানে। খাদ্যদ্রব্যের দাম বেড়েই চলেছে। পাকিস্তানের দরিদ্রদের জন্য খরচ সামলানো দিন দিন আরো কঠিন হয়ে পড়ছে। দেশটিতে মূল্যস্ফীতি আকাশচুম্বী ৩১.৫ শতাংশে পৌঁছেছে। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, মূল্যস্ফীতি পৌঁছতে পারে ৩৩ শতাংশে।

এই বছরের রমজানকে অনেকে ‘প্রাণঘাতী’ এবং ‘সবচেয়ে ব্যয়বহুল’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। দেশটির নিম্ন আয়ের নাগরিকদের ওপর এর ব্যাপক প্রভাব পড়ছে।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top