• ** জাতীয় ** আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি : শেখ হাসিনা ** আবারও তিন দিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি ** চুয়াডাঙ্গায় হিট স্ট্রোকে দুই নারীর মৃত্যু ** ইউআইইউ ক্যাম্পাসে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’ নিয়ে তোলপাড় সারাদেশ ** সিলেটে মসজিদে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে ইমামের মৃত্যু ** নরসিংদীতে হিট স্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু ** সব ধরনের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন : https://www.newsflash71.com ** সব ধরনের ভিডিও দেখতে ভিজিট করুন : youtube.com/newsflash71 ** লাইক দিন নিউজফ্ল্যাশের ফেসবুক পেইজে : fb/newsflash71bd **


আন্দোলন ডাইভার্ট করতে আ.লীগ নেতারা সংলাপের কথা বলছেন

রাজিউর রেহমান | প্রকাশিত: ৮ জুন ২০২৩, ২২:৫০

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির মহাসচিব বলেছেন, আওয়ামী লীগ ও গণতন্ত্র একসঙ্গে যায় না। সংলাপের কথা বলে জনদৃষ্টিকে সরকার ভিন্নদিকে ডাইভার্ট করতে চায়।  তারা শুধু মিথ্যা কথা বলে। নির্বাচনের সময় নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের বিকল্প নেই। সুতরাং আগে পদত্যাগ করুন। তারপর দেখবো সেটি (তত্ত্বাবধায়ক সরকার) কীভাবে করতে হয়। বৃহস্পতিবার (৮ জুন) দুপুরে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আওয়ামী লীগ ডাইভারশন খুব ভালো জানে। দৃষ্টি ফেরাতে সবসময় অন্য কিছু করে। বিদ্যুৎ থেকে দৃষ্টি সরাতে। তাই আমীর হোসেন আমুসহ অন্যদের সংলাপের বক্তব্য সামনে এসেছে। লক্ষ্য ডাইভার্ট করতে এই ইস্যু তৈরি। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন ছাড়া কোন বিকল্প নেই। পদক্ষেপ নেন তত্ত্বাবধায়ক দিন পরে দেখা যাবে কি করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, লড়াই করছি দেশের মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দিতে। দেশের মানুষ সংগ্রাম করে দাবি আদায় করতে জানে। নির্বাচন হবে নিশ্চয় কিন্তু সেটি যেন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হয় সে দাবি আদায় করতে হবে। দরকার হলে রাজপথে নামতে হবে। একটি দল আরেকটি দলকে বিশ্বাস করে না। কেউ এসে কিছু করতে পারেনি। তাই তত্ত্বাবধায়ক সরকার দরকার।

ফখরুল বলেন, আমির হোসেন আমুর বক্তব্য লোডশেডিংয়ের ইস্যু ডাইভার্ট করতে। আমু কে? তিনি তো আওয়ামী লীগের মুখপাত্র নন। লোডশেডিংয়ের বিরুদ্ধে জনগণের প্রতিবাদকে ডাইভার্ট করার জন্য আমুর বক্তব্য। মানুষ যখন বিদ্যুৎ নিয়ে ভুগছে, তখন সরকার এটা থেকে দৃষ্টি সরাতে চায়। সেজন্য আমির হোসেন আমুর সংলাপ বক্তব্য এসেছে। আওয়ামী লীগের মুখপাত্র বলছে, সংলাপের সিদ্ধান্ত হয়নি। আবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন, সংলাপের প্রয়োজন আছে। তাদের এমন বক্তব্যের একটাই উদ্দেশ্য, ডাইভার্ট করা।

আওয়ামী লীগ ও গণতন্ত্র একসাথে যায়না মন্তব্য করে তিনি বলেন, তাদের রাজনৈতিক চরিত্র ফ্যাসিবাদী। তাদের ভাষা আক্রমণাত্মক। বাংলাদেশের বর্তমান যে রাজনৈতিক সংস্কৃতি, কোনো দল কাউকে বিশ্বাস করে না, সেজন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়টি এসেছে। চারটি নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হয়েছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, বিদ্যুতের জন্য বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ করা হয়েছে। হাতিরঝিলে উৎসব করেছে। অথচ আজ ছয় ঘন্টাও বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে না। স্কুল বন্ধ, কৃষিতে সেচ বন্ধ, হাসপাতালে ভোগান্তি। এতো টাকা গেলো কোথায়?

ফখরুল বলেন, আজকে যে দলটি ক্ষমতায় আছে তারা বারবার গণতন্ত্রের কথা বলে। কিন্তু সেই দলটির হাতে গণতন্ত্র বারবার নিহত হয়েছে। গণতন্ত্র আমাদের অস্থিতে মজ্জায় ছিল। যা আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের মূল চেতনা ছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ একে একে গণতান্ত্রিক সব অধিকার হরণ করেছে। তারা জরুরি অবস্থা, সামরিক আইন এবং শেষে বাকশাল কায়েম করেছিল।

 

 

 

 

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top