• ** জাতীয় ** আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি : শেখ হাসিনা ** আবারও তিন দিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি ** চুয়াডাঙ্গায় হিট স্ট্রোকে দুই নারীর মৃত্যু ** ইউআইইউ ক্যাম্পাসে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’ নিয়ে তোলপাড় সারাদেশ ** সিলেটে মসজিদে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে ইমামের মৃত্যু ** নরসিংদীতে হিট স্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু ** সব ধরনের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন : https://www.newsflash71.com ** সব ধরনের ভিডিও দেখতে ভিজিট করুন : youtube.com/newsflash71 ** লাইক দিন নিউজফ্ল্যাশের ফেসবুক পেইজে : fb/newsflash71bd **


ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২৩:৫১

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের (উড়ালসড়ক) উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪টার দিকে বিমানবন্দরের কাওলা প্রান্তে ফলক উন্মোচনের মধ্য দিয়ে দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

উদ্বোধনের পর টোল পরিশোধ করে প্রধানমন্ত্রী তার গাড়িবহর নিয়ে উড়ালসড়কে উঠেন। এক্সপ্রেসওয়ের বিজয় সরণি প্রান্ত দিয়ে প্রধানমন্ত্রী তার গাড়িবহর নিয়ে আগারগাঁওয়ে পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে যান। সেখানেও উদ্বোধনী ফলক উন্মোচনের বক্তব্য দেন।

এর আগে, দুপুর সোয়া ২টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়। উদ্বোধন উপলক্ষে সকাল থেকে দলে দলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পুরোনো বাণিজ্যমেলার মাঠে আসতে শুরু করেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ওই মাঠে জনতার ঢল নামে।

রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টা থেকে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এক্সপ্রেসওয়ে। তবে পথচারী, মোটরসাইকেল, রিকশা, অটোরিকশাসহ তিন চাকার যানবাহন উড়াল সড়কে উঠতে পারবে না। এই সড়ক দিয়ে বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে ১০ মিনিটের মধ্যে যানবাহন পৌঁছে যাবে ফার্মগেটে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, দ্রুতগতিতে ও নিরাপদে যাতে গাড়ি চলাচল করতে পারে, সেজন্য দুই ও তিন চাকার গাড়ি চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে না। এক্সপ্রেসওয়েতে চলাচল করতে হলে দিতে হবে নির্ধারিত টোল। এটি পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) ভিত্তিতে নির্মাণ করা হচ্ছে। এ কারণে টোলের টাকা থেকে নির্মাণ ব্যয় তোলা হবে।

প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, পিকআপ ও হালকা ট্রাককে ৮০ টাকা, বাস ও মিনিবাস ১৬০ টাকা, মাঝারি ট্রাক ৩২০ টাকা এবং ভারী ট্রাক বা ট্রেইলরে ৪০০ টাকা টোল দিতে হবে।

প্রকল্প সূত্র বলছে, বিমানবন্দর এলাকায় দুটি, কুড়িলে তিনটি, বনানীতে চারটি, মহাখালীতে তিনটি, বিজয় সরণিতে দুটি ও ফার্মগেটে তেজগাঁও কলেজের সামনে নামছে একটি র‌্যাম্প। এর মধ্যে বনানী ও মহাখালীর দুটি র‌্যাম্পের কাজ শেষ হয়নি। এজন্য আপাতত র‌্যাম্প দুটি বন্ধ থাকবে।

সরকারের সেতু বিভাগের তত্ত্বাবধানে নির্মাণ করা হয়েছে এই এক্সপ্রেসওয়ে। মূল উড়ালসড়কের দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। প্রকল্পে ওঠা-নামার জন্য ২৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ৩১টি র‌্যাম্প (সংযোগ সড়ক) রয়েছে। র‌্যাম্পসহ এক্সপ্রেসওয়ের মোট দৈর্ঘ্য ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার।

বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট এই সাড়ে ১১ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে স্বাভাবিকভাবে এক থেকে দেড় ঘণ্টা লাগত। কোনো কোনো সময় দুই থেকে আড়াই ঘণ্টাও লেগে যায়। তবে এক্সপ্রেসওয়েতে সময় লাগবে ১০ থেকে ১২ মিনিট।

বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট যেতে কাওলা, কুড়িল আর গলফ ক্লাবে ওঠার ব্যবস্থা থাকবে। একদিকে নামা যাবে বনানী ও মহাখালী আর ফার্মগেটে। অন্যদিকে, তেজগাঁও থেকে বিমানবন্দর যেতে বিজয় সরণি ওভারপাসের দুই প্রান্ত আর বনানী থেকে থাকবে ওঠার ব্যবস্থা। নামা যাবে মহাখালী, বনানী, কুড়িল ও বিমানবন্দর এলাকায়।

উড়ালসড়কটি কাওলা থেকে কুড়িল-বনানী-মহাখালী-তেজগাঁও-মগবাজার-কমলাপুর-সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী এলাকা পর্যন্ত যাবে। প্রকল্পটি পুরোপুরি বাস্তবায়ন হলে ঢাকার যানজট অনেকটা কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যানজটে নাকাল নগরবাসীকে স্বস্তি দেবে এ এক্সপ্রেসওয়ে। অন্য যানবাহনের তুলনায় অনেক কম এবং একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছানো যাবে। যোগাযোগব্যবস্থা সহজীকরণ হবে। ভ্রমণের সময় ও খরচ কমে যাবে। তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে মুক্তি পাবেন মানুষ। এক কথায়— দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে।

এই একপ্রেসওয়েকে সহজ সমাধান হিসেবে দাবি করা হলেও পরিকল্পনাবিদরা বলছেন অন্য কথা। তাদের দাবি, এয়ারপোর্ট থেকে এ সড়ক দিয়ে দ্রুত আসা গেলেও ভূমি সড়কে গাড়িগুলো নামার পর যানজট হবে।

তারা বলছেন, একদিকে যেমন তাড়াতাড়ি এয়ারপোর্ট থেকে ঢাকায় আসা যাবে, তেমনি ঢাকায় নামার পর এই গাড়িগুলো যানজটে পড়বে। আবার এয়ারপোর্ট থেকে তাড়াতাড়ি বনানী, তেজগাঁও, মহাখালী বা ফার্মগেটে চলে আসা যাবে।

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top