ডোমারে উত্তাল ছাত্র-জনতা: চাঁদাবাজি, ধর্ষণ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঝড়
সুজন হাসান | প্রকাশিত: ১২ জুলাই ২০২৫, ১৬:৪৬

নীলফামারীর ডোমারে আজ যেন রুদ্র প্রতিজ্ঞায় শপথ নেওয়া জনতার নগরীতে রূপ নিয়েছিল। দিনটি ছিল শনিবার, ১২ জুলাই। সাপ্তাহিক ছুটির এক সকাল, কিন্তু শহরের বাতাসে ছুটির নিস্তব্ধতা নয়, বরং ছিল ক্ষোভ, প্রতিরোধ আর প্রতিবাদের গর্জন।
ডোমার সদর রেলগেট চত্বরে অনুষ্ঠিত হয় এক ব্যতিক্রমধর্মী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল—যার আয়োজনে ছিল ছাত্র-জনতা, সহযোগিতায় নবজাগরণ ডোমার ও হৃদয়ে ডোমার। এ কর্মসূচি যেন ছিল অব্যাহত অন্যায়, চাঁদাবাজি, ধর্ষণ, বিচারবহির্ভূত হত্যা ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এক সামাজিক অভ্যুত্থান।
বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে এক আবেগঘন মানববন্ধনে রূপ নেয়। ব্যানার-প্ল্যাকার্ড হাতে, মুখে প্রতিবাদের আগুন; অংশগ্রহণকারীরা ছিলেন নানা শ্রেণিপেশার মানুষ, যুব-ছাত্র থেকে শুরু করে রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
মানববন্ধনে একে একে বক্তব্য রাখেন ছাত্রনেতা অর্ণব আল আলিফ, মাহির মিলন, কামরুল ইসলাম আরেফিন, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সোহেল রানা ও সিনিয়র সাংবাদিক সোহাগ মামুনসহ আরও অনেকে। তাদের কণ্ঠে প্রতিধ্বনিত হয়—সম্প্রতি রাজধানী ঢাকায় যুবদলের হাতে নির্মমভাবে নিহত ব্যবসায়ী সোহাগের প্রতি গভীর শোক এবং তীব্র নিন্দা। বক্তারা স্পষ্ট করে বলেন, অপরাধীদের প্রকাশ্য শাস্তি ছাড়া এই বিক্ষোভ থামবে না।
তাদের ভাষণে উঠে আসে এক গভীর উদ্বেগ—সারাদেশে ক্রমবর্ধমান ধর্ষণ, গুম, খুন, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ না থাকায় মানুষের জীবন আজ নিরাপত্তাহীন।
মানববন্ধন থেকে বক্তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উদ্দেশ করে জোরালো আহ্বান জানান—দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, চালু করতে হবে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি। কারণ, জনগণ আর নীরব থাকবে না। রাস্তায় নামলে, জবাব চাইবে, এবং প্রয়োজনে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।
এই প্রতিবাদ কর্মসূচি শুধু একটি দিনের ঘটনা নয়; এটি যেন ভবিষ্যতের বাংলাদেশ গড়ার দাবিতে জনতার একটি প্রত্যয়ী উচ্চারণ।
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।